শীতকালীন ছুটি শেষে গত ২ জানুয়ারি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে ফিরেছেন। হল প্রাধ্যক্ষের অবহেলায় ছুটি শেষ হওয়ার নয়দিন অতিবাহিত হলেও চালু হয়নি হলগুলোর ডাইনিং। ফলে খাবার নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। হলের ক্যান্টিনগুলো খুললেও খাবারের মান নিয়ে নানান প্রশ্ন এবং চাহিদ অনুযায়ী খাবার পাওয়া যাচ্ছে না বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববদ্যিালয়ের নবাব সিরাজ উদ-দৌলা ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার আগেই ডাইনিং বন্ধ হয়ে যায়। ঈদ, পূজা প্রত্যেক ছুটিতে বিনা কারণে অনেক সময় বন্ধ রাখে। ডাইনিং না খোলার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের। অনেক শিক্ষার্থী হলের ডাইনিংয়ের খাবারের উপর নির্ভরশীল। মাঝে মধ্যে ক্যান্টিনেও খাবার পেতে অনেক বেগ পেতে হয়। কিন্তু এখনো ডাইনিং চালু না হওয়ায় ক্যাম্পাসের খাবারের স্বাভাবিক দামের চেয়ে বাইরে তিনগুণ বেশি টাকা দিয়ে খাবার খেতে হচ্ছে। তাই অতিদ্রুত ডাইনিং চালু করার দাবি জানাই।

সরেজমিনে দেখা যায়, নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হল, কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, শেরেবাংলা হল, শেখ লুৎফর রহমান হল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হল, শেখ সায়েরা খাতুন হলের ডাইনিং বন্ধ। বন্ধের কারণ জানতে চাইলে নবাব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজ রাত থেকেই ডাইনিং চালুর নির্দেশ দিয়েছি।

লুৎফর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন, নির্দিষ্ট পরিমাণ টোকেন নেওয়ার মতো শিক্ষার্থী না থাকায় ডাইনিং বন্ধ ছিল, শনিবার থেকে খুলবে।

ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক সাবেরা ইয়াসমিন বলেন, যদিও অধিকাংশ মেয়ে হলে আসেনি। আচ্ছা আমি ডাইনিং খুলে দেব।

শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, মেয়েরা এখনও আসেনি, আমি কথা বলতেছি।

শেখ সায়েরা খাতুন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় খবর নিয়ে দেখেছি শিক্ষার্থীরা ডাইনিং-ক্যান্টিনে খায় না বা টাকা দিতে সমস্যা করে। তারা অধিকাংশই রুমে রান্না করে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকেই মিটিং করে শুক্র-শনিবারে সব হলের ডাইনিং খোলার ব্যবস্থা করব।

নয়া শতাব্দী/এসএ