চিরকুটে প্রশাসনকে দায়ী করে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
এরআগে ওই শিক্ষার্থী চিরকুটে লিখেন, ‘বিচার কখনোই একপাক্ষিক হলে সেটা সঠিক বিচার হয় না। আমার মৃত্যুর জন্য শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী’
বুধবার (০৩ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে একটি চিরকুট লিখে একসাথে ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম তোফায়েল আহমেদ। তিনি অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের ৭৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে একটি চিঠি লিখে একসাথে ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে নেয় তোফায়েল। পরে তাকে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পেট ওয়াশ করে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।
তোফায়েলের বন্ধুরা জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর তুচ্ছ ঘটনায় তোফায়েলসহ ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। সেসময় থেকেই তার মানসিক অবস্থা ভেঙে পড়ে। চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে তোফায়েল আহমেদ এ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বাকিরাও চরম হতাশায় আছে। আমরা এই শাস্তির পুনর্বিবেচনা চাই, যাতে কারো লঘু পাপে গুরুদণ্ড না হয়। আমরা আর কোনো সহপাঠীকে হারাতে চাই না। তোফায়েল এর সুস্থতার জন্য সবাই দোয়া রাখবেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহিষ্কারের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বইছে সমালোচনার ঝড়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হারুন-উর-রশিদ বলেন, সে এখন ভালো আছে। আমরা রাত একটা পর্যন্ত ছিলাম, পরে তার চাচার কাছে রেখে আমরা চলে আসি। বহিষ্কারের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনার বিষয়ে এখন জানা যাবে না। সে চিরকুটে কি লিখেছে সেটা আমরা জানি না।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ