সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১

ফেসবুকে ‘হা হা’ দেওয়ায় সহপাঠীর নাক ফাটালেন ববি ছাত্রদল নেতা

প্রকাশনার সময়: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:৩৬

ফেসবুকে সহপাঠীর স্ট্যাটাসে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন শান্তর বিরুদ্ধে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটির সদস্য৷

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভোলা রোডের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সম্মুখে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর সহপাঠীরা আহতকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত ঐ শিক্ষার্থীর নাম মো. জাকির হোসেন (২৩)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে আহত করা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীও একই বিভাগের শিক্ষার্থী৷

আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী মুহম্মদ গোলাম রব্বানী জানান, ২৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমি ও জাকির ভোলা রোডে বাজার করতে আসি তখন জাকির আমার থেকে একটু দূরে ছিল হটাৎ দেখি শান্ত এসে জাকিরকে চোখ বরাবর মারধর শুরু করেছে৷ প্রথমে এসেই বাম চোখে ঘুষি মেরেছে৷ পরে অন্যান্য স্থানে লাথি ঘুষি মারে৷ পরে আমরা গিয়ে মারামারি থামানোর চেষ্টা করেছি৷ আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের ৪র্থ তলায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন বলেন, আরিফ হোসেন শান্তের একটা ফটোতে শুধু হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়েছি ৷ ওই রিঅ্যাক্ট নিয়ে মেসেঞ্জারে আরিফ আমাকে গালাগালি করে পরে জিজ্ঞাসা করে আমি কোথায় আছি। তাকে বললাম বরিশালে, ভোলা রোড। পরে সে এসেই আমাকে চোখ বরাবর ঘুষি মারে৷ ঘুষি মারার পরপরই আমি মাটিতে পড়ে যাই৷ পরে বুকে কিল ঘুষি মারছে৷ এখনো নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে অনবরত৷ রাতে আমি ঘুমাতেও পারিনি৷

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন শান্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে বিভিন্নভাবে সে (জাকির) উসকানি দিয়ে ভোলা রোডের মোড়ে ডেকে নিয়ে হিট করে৷ আমার হাতে কামড় দিয়েছে। নিজের আত্নরক্ষার্থে আমি তাকে মারধর করেছি৷

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা পম্পা রানী মজুমদার বলেন, মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি৷ এ ধরণের ঘটনা কাম্য নয়৷ আমি দুজনের সঙ্গে কথা বলব৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম বলেন, রাতে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর অসুস্থতার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা চায়৷ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেই৷ ‘হা হা’ রিঅ্যাক্টকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটেছিল বিষয়টি জানি না৷ তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো৷

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ