ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘বেগম রোকেয়া মুসলমান সমাজে সার্থক আন্দোলনের স্রষ্টা’

প্রকাশনার সময়: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:০২

ভারতের রোকেয়া ইনস্টিটিউট অব ভ্যালু অ্যাডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের আহ্বায়ক প্রাণতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বেগম রোকেয়া মুসলমান সমাজে সার্থক আন্দোলনের স্রষ্টা। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। বিদ্যাসাগরের শিক্ষায় ধর্ম, বর্ণ, জাতির ঊর্ধ্বে ওঠে এ অঞ্চলে যুক্তিবাদ শিক্ষাধারার সূচনা হয়। বেগম রোকেয়াও সেই কাজটাই করেছেন।’

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ১০৩ নম্বর কক্ষে রোকেয়ার জন্ম ও প্রয়াণ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘বিদ্যাসাগর থেকে রোকেয়াঃ বাঙালির আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধান’ শীর্ষক এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে পর্দা কোনো একক ধর্মের প্রতীকী উপস্থাপনা নয় বলে উল্লেখ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা৷ তিনি বলেন, পর্দাকে কেবল ধর্মীয় ডিসকোর্সের সাথে দেখা ভীষণ সমস্যাকর। কারণ পর্দা কোনো একটি একক ধর্মীয় প্রতীকী উপস্থাপনা নয়৷ আপনি রাজস্থানে যান, সেখানেও লোকজনকে পর্দা করতে দেখবেন। পর্দার যে সংজ্ঞা, আমরা পর্দা বলতে কোনো এক অদ্ভুত বা অযাচিত কারণে ৯/১১ এর পর পর্দার ধারণা আমাদের মধ্যে একপাক্ষিক ধর্মের সাথে যুক্ত হয়ে গেছে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মন্ময় জাফর বলেন, রোকেয়া আট-দশজন মানুষের থেকে আলাদা ছিল। রোকেয়ার ভাইয়েরা তাকে পড়াশোনা না শেখালে সেসময়কার মুসলিম প্রজন্ম শিক্ষার বাইরে রয়ে যেত। রোকেয়া অপব্যয়ী ছিলেন না, ছিলেন জেদী৷ সে কারণে তার সময়কার উপনিবেশিক বাংলায় নারীশিক্ষায় ভূমিকা রাখেন৷ বিদ্যাসাগরের মতো রোকেয়াও ভারতীয় মুসলিমদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি সমসাময়িক কুসংস্কারের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছেন৷ তিনি নারী মুক্তির যে সংগ্রাম করেছেন, তা থেকে তাকে কেউ বিচ্যুত করতে পারেনি৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, ইতিহাস, দর্শন বিভাগ ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এমরান জাহান, থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ টি এম নুরুল আমিনসহ প্রমুখ৷

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ