ঢাকা, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করল সিকৃবি 

প্রকাশনার সময়: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৪৫

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছয়টি অনুষদের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ওরিয়েন্টেশন-২০২৩ সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে নবাগত শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ফুল ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ওরিয়েন্টেশন বিষয়ক আলোচনা সভায় সহকারী অধ্যাপক পার্থ প্রতিম বর্মন এবং সহকারী অধ্যাপক পৃথীলা পূজার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।

নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ছিল আমাদের চেয়ে অনেক বেশি কিন্তু বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে আমাদের অর্ধেক। শুধু মাথাপিছু আয় নয় শিক্ষার হার, গড় আয়ু, নিম্ন শিশু মৃত্যুর হার , সামাজিক সূচকে সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে। সংখ্যাগত শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। কারিগরি শিক্ষায় গ্র্যাজুয়েট ৩ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে মানসম্মত শিক্ষা থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। এখনও সবক্ষেত্রে গুণগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠা হয়নি। শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক আন্দোলন প্রয়োজন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা বৃদ্ধি ও ইন্টার্নশিপ চালু করার আহ্বান জানান।

এছাড়াও তিনি জানান, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যানসহ নানা পরিকল্পনা প্রণয়ন করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আমরা বাস্তব জ্ঞান সম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে না পারি, তাহলে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আপনারা ভুল করেন নাই। বর্তমানে কৃষির সঙ্গে প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় কর্মক্ষেত্রে আরও বেড়ে গেছে। স্বাধীনতার পর সেখানে দেশ খাদ্য সংকটে ভুগছিল, আজ কৃষির উন্নয়নে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ লাভ করেছি। এই কৃষিতে সংযুক্ত হয়ে আপনারাও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।

তিনি আরও বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বুলিং চললেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদেরকে র‌্যাগিং মুক্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এইসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স। যেসকল শিক্ষার্থীরা সরাসরি অভিযোগ করতে পারবে না, তাদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ বক্স রাখা হয়েছে। আমারা চাই শিক্ষার্থীরা পরিবারের মতো এই ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে।

এ সময় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিল আহবায়ক ও ডিনবৃন্দ, প্রক্টর , রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সমিতিসহ সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন কৃষ্ণচূড়ার আয়োজনে নাচ, গানে মেতে উঠেন নবীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ