ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বানরদের খাবার দিয়ে বিশ্ব বানর দিবস পালন প্রাধিকারের

প্রকাশনার সময়: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৫৭

বানরদের মাঝে খাবার বিতরণ ও মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে বিশ্ব বানর দিবস পালন করলো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রাণী অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন প্রাধিকার। সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষের সঙ্গে বানরের সুসম্পর্ক তৈরি করতে এই দিবসকে ঘিরে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালায় প্রাধিকারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটায় বিশ্ব বানর দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে দুটি দলে ভাগ হয়ে সিলেট শহরের বানরটিলা ও চাশনিপীর মাজার এলাকায় শতাধিক বানরের মাঝে কলা ও পাউরুটি বিতরণ করেন প্রাধিকারের সদস্যরা। এ সময় প্রাধিকারের সদস্যরা এলাকার মানুষের সঙ্গে বানর বিষয়ে মতবিনিময় করে।

এ বিষয়ে প্রাধিকারের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পাশাপাশি প্রাণী প্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ দিন। আজ বিশ্ব বানর দিবস। প্রাধিকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রানী অধিকার ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। আজ বিশ্ব বানর দিবস উপলক্ষ্যে আমরা সিলেটের হযরত চাশনী পীর (রহ.) এর মাজার ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বানর টিলায় প্রায় ১০০টির বেশি বানরের খাবারের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, বানর বিনোদন প্রদানকারী বন্যপ্রাণীগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে ধীরে ধীরে বানরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। মানুষ বনের গাছ কেটে ফেলছে, টিলা কেটে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করতেছে। ফলে যেমন বানরের আশ্রয়স্থল ধ্বংস হচ্ছে তেমনি খাবার সংকট বাড়ছে। খাবারের সন্ধানে বানর লোকালয়ে এসে মানুষের বাসা থেকে খাবার ফলমুল খেয়ে ফেলছে। মানুষ ও বানরের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। ফলে বানরের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। আমরা আজকে বানর দিবসে খাবার বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগনের মধ্যে এই মূল্যবোধ ছড়িয় দিতে চাই যেন সবাই সরকারি, বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বানরের খাবারের সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে আসে।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে ক্যাসে সরো এবং ইরিক মিল্লিকিন নামে দুই শিল্পী এই দিনটি উদযাপন করতে শুরু করেন। সেই সময় তারা মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তবে মজার ছলেই এই দিনটি পালন শুরু হয়। তারপর থেকে সরো এবং তার বন্ধুরা বানর দিবস উদযাপন করতে শুরু করেন। তবে তা সীমাবদ্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই। এরপর ধীরে ধীরে তাতে যোগ দেয় বিভিন্ন দেশ।

আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়াতে ২৬০ টি প্রজাতির বানর আছে। পরিবেশবিদরা তাদের সংরক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন আন্দোলন করেছেন। অন্যদিকে ২৬০ টি প্রজাতি ছাড়াও আফ্রিকার ইস্টার্ন লো ল্যান্ড গোরিলায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি আছে। সংশ্লিষ্ট প্রজাতিকে বাঁচানোর জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ব বানর দিবস পালন করা হয়।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ