শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়াম শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের শাসনকাল ধরেই বিভিন্ন সময়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, তবে বিশেষভাবে ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিকল্পিত ভাবে তারা দেশের নামকারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। ১৯৭১ সালে যারা দেশের শত্রু ছিল, তারা আজও দেশের শত্রু। এসব স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যখনই দেশে ক্ষমতায় আসীন হয়েছে তখনই তারা বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলাকে নস্যাৎ এর যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে শিক্ষা দেওয়া উচিত। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করার মাধ্যমে এ দাঁতভাঙা জবাব নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের জন্য শর্টকাট কোন পথ নেই। এজন্য আমাদের সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ বজায়ে ভূমিকা পালন করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহব্বান জানান।

আলোচনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন ও শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ।

এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাজহারুল হাসান মজুমদার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ড. মো. আখতারুল ইসলাম, সেন্টার অব এক্সসেলেন্সের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাস্তাবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল গনি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো ফারুক উদ্দিন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান।

এ সময় বিভিন্ন হল প্রভোস্ট, শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নয়াশতাব্দী/জেডএম