ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বশেমুরবিপ্রবিতে স্থাপত্য বিভাগে ভাঙচুর

প্রকাশনার সময়: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:১৬

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একাডেমিক ভবনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কনসার্ট চলাকালে স্থাপত্য বিভাগের আসবাবপত্র ও শিক্ষার্থীদের তৈরিকৃত বিভিন্ন মডেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে কনসার্ট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, স্থাপত্য বিভাগের সামনে রাখা শিক্ষার্থীদের বানানো বিভিন্ন মডেল টেবিলের পর থেকে মেঝেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন শিল্পকর্ম ও আসবাবপত্রের ভিন্ন অংশ আঘাত করে ভাঙা হয়েছে।

এই ঘটনা সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয়বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল রাতে একাডেমিক ভবনের মধ্যে কনসার্ট চলায় বহিরাগত অনেক মানুষকে আসতে দেখেছিলাম। তারা বিভিন্ন বিভাগের সামনে ঘোরাফেরা করছিল। আমরা মনে করি এই ধরনের কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করতে পারে না এটা বহিরাগত কারোর মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে দাবি জানায় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

এই বিষয়ে স্থাপত্য বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, গতকাল আমরা ক্লাস শেষে যখন বাসায় যায় তখন আমরা সব কিছু ঠিকঠাক দেখে গিয়েছিলাম। সকালে এসে আমরা দেখি রাতের মধ্যে এই অবস্থা করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে এটা জানি না তবে যারা এটা করেছে তারা কাজটা ভালো করেনি, কারণ এই গুলো বানাতে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং অনেক সময় ব্যায় করতে হয়েছে।

ভাঙচুরের বিষয়ে স্থাপত্য বিভাগের সভাপতি ড. সালেহ আহমেদ বলেন, একাডেমিক ভবনের কাজ হলো একাডেমিক যেসব ইভেন্ট আছে সেগুলো আয়োজন করা। এরকম একটি একাডেমিক বিল্ডিংয়ের মাঝখানে মঞ্চ থাকা, লাউডস্পিকার রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অবস্থান থাকা এবং বিভিন্ন বিভাগের করিডোরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান করতে দেওয়া আমার মনে হয় শিক্ষার্থী কোনোভাবেই পারে না। একটা একাডেমিক বিল্ডিংয়ের মঞ্চের সাউন্ড সিস্টেমের লাউডনেস কতটুকু হতে পারে, তার ব্যাপ্তি কতটুকু হতে পারে এবং এক বছরে সর্বোচ্চ কয়টি প্রোগ্রাম হতে পারে সেটাও নির্ধারণ করে দিতে হবে। তা না হলে এভাবে যদি দিনের পর দিন প্রোগ্রাম চলতে থাকে তাহলে এভাবে আমাদের কারও একাডেমিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, একটা মডেল প্রসেস করতে দিনের পর দিন রাতের পর রাত কাজ করতে হয়। এই ঘটনায় আমি আর্কিটেকচার বিভাগের সভাপতি হিসেবে বিক্ষুব্ধ এবং প্রশাসনকেই ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এমন পরিস্থিতি আর তৈরি না হয়। আর যেহেতু মডেলগুলো শিক্ষার্থীদের টাকায় তৈরি তাই এর কার্যত ক্ষতিপূরণ আমরা চাই।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি এই বিষয়ে ভালোভাবে অবগত না, তাই কিছু বলতে পারছি না। আমরা এই বিষয় নিয়ে দ্রুতই বসবো।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ