ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাবিতে রোকেয়া দিবস পালিত

প্রকাশনার সময়: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রোকেয়া দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে এ আয়োজন করা হয়। এ সময় হল গেইটে বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। পরে হলের মিলনায়তনে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিদ্যা শিক্ষা সোনার চেয়েও মূল্যবান সেই কথাই বেগম রোকেয়া বলে গেছেন। আমরা একটু পেছনে গেলে দেখতে পাবো মেয়েদের পিছিয়ে রেখে পুরুষদের একটা অন্যরকম আচরণ ছিল। তবে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু কিছু পুরুষ আছে তাদের অনেক অবদান থাকে। বেগম রোকেয়া ঘরে বন্দি থেকে তার ভাইয়ের কাছে এবং পরে স্বামীর কাছে পড়াশোনার শিখেছেন।

পারিবারিক শোক বুকে নিয়েও তিনি যে এত উজ্জ্বলভাবে আলো ছড়িয়ে সমাজে যে বার্তা দিয়ে গেছেন তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। ২০০৪ সালে বিবিসির একশো জনের ওপর করা শ্রেষ্ঠ বাঙালির জরিপে বেগম রোকেয়া ষষ্ঠ অবস্থানে ছিলেন। তিনি যে চিন্তাচেতনা ধারণ করেছেন তা বিশ্বসভা এবং বাংলাদেশ স্বীকৃতি দিয়েছে। কাজেই তার রেখে যাওয়া আলো যুগ যুগ ধরে জ্বলছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, বেগম রোকেয়ার কথা শুনলেই যেন আমরা আলোর রেখা দেখতে পাই। আমাদের সমাজ যখন নারীর ক্ষেত্রে অন্ধকার যুগে পড়েছিল ঠিক তখনই তিনি সব বাধা পেরিয়ে নারীদের সামনে আলোর রেখা তুলে ধরেন। নারী আন্দোলনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মেয়ে মানুষ নয়, মানুষ হয়ে বাঁচতে হবে। তবেই মানবজনম স্বার্থক হবে। একজন মানুষকে যখন শিক্ষাদান করা হয় তখন মানুষ তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়। এজন্যই তিনি শিক্ষাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক বলেন, বেগম রোকেয়া যেভাবে নারীদের জাগরণ করেছেন তার আন্দোলনের মাধ্যমে, তার লেখনীর মাধ্যমে তা-না হলে নারীরা এতদূর আসতে পারতো কি না সন্দেহ আছে। নারী যে শুধু বন্দি থাকবে, সেবা দিবে তা নয় এটাই তিনি তার লেখনীতে তুলে ধরেছেন। নারী যে শাসন করতে পারে সেটাও তিনি করে দেখিয়েছেন। তিনিই প্রথম নারীদের স্কুল খুলেছিলেন। তিনি সংগ্রাম করে ২৪ সেখানে শিক্ষতা করেছেন। এই মহীয়সী নারীর স্বামীও তাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। তিনি সবসময় নারীদের আদর্শ হয়ে থাকবেন।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন হলের হাউজ টিউটর ফেরদৌস আক্তার। সভাপতিত্ব করেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়ন্ত রানী বসাক। এ সময় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ