ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গান বাজনায় অতিষ্ঠ বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা 

প্রকাশনার সময়: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৩৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগ, সামাজিক সংগঠন, ক্লাব ও বন্ধু সার্কেলদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, পিকনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে বক্সে গান-বাজনা এখন একটি দৈনন্দিন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও নামাজের সময় উচ্চশব্দে বক্সে গান বাজানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আশপাশে অবস্থান রত মসজিদের মুসল্লিদের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও মসজিদের মুসল্লিরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এই বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাদীম হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত একাডেমিক ভবনের ভেতরে কোনো না কোনো অনুষ্ঠান হয়ে-ই চলছে। তার মধ্যে কিছু কিছু প্রোগ্রামে তো একাডেমিক কার্যক্রম চলা অবস্থায় হাই-ভোল্টেজে গান বাজানো হয়। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ভাইভা-পরীক্ষা চালু থাকে। এই শব্দ দূষণের ফলে তারা ভালোমতো ভাইবা ও পরীক্ষা শেষ করতে পারে না। এছাড়াও এই উচ্চ-আওয়াজে লাইব্রেরিতে যারা পড়াশোনা করে তাদেরও পড়াশোনায় বিগ্ন ঘটায়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হবে এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এক্ষেত্রে, উপরোক্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় যেহেতু আমাদের অডিটোরিয়াম নেই তাই যদি নিয়ন্ত্রিত আওয়াজে এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ে (বিশেষ করে সন্ধ্যা পরে) প্রোগ্রামগুলো শুরু করা হয় তাহলে কিছুটা হলেও এই সমস্যা লাঘব হয়।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী ওমর শরীফ বলেন, যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গবেষণা, থিসিস ,পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সেখানে আমাদের ক্যাম্পাসে প্রতিটিদিন কনসার্ট চলে। ডিসেম্বর মাস যেখানে প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষা চলে সেখানে রাত ২টা ৩টা পর্যন্ত এসব প্রোগ্রাম চলে। আর এগুলো একাডেমিক ভবনে বিকাল থেকে শুরু হয় যখন ক্লাস চলতে থাকে। শুধু তাই নয় এই প্রোগামের কাছেই মেয়েদের ২টা ও ছেলেদের ৩টা হল অবস্থিত। যেখানে উচ্চ শব্দের জন্য হলে থাকা দায়।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন সব প্রোগ্রামের অনুমতি কেন দিচ্ছে কিভাবে দিচ্ছে জানি না, তবে কত সময় হবে, শব্দ কতটুকু করতে পারবে, কোন জায়গায় হবে এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে অনুমতি দেওয়া উচিত এবং তা বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা কড়া নজর দেওয়া উচিত। তাছাড়া নামাজের সময় উচ্চ শব্দে গান বাজনা চলতে থাকে যা কোনো ভাবেই চলতে পারে না।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম থাকে। আমি একাডেমিক কাউন্সিলে তুলেছি সেখানে কোনো সুরাহা হয়নি। চেয়ারম্যানরা কোনো দায়িত্ব নিতে চাই না। নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হলে কেউ মানে না। কাল আমরা এটা নিয়ে কথা বলবো, অনেকের সাথে এটা নিয়ে কথা হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ