‘বেগম রোকেয়া নারী সমাজের আলোকবর্তিকা’ স্লোগানকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) পালিত হয়েছে ‘বেগম রোকেয়া দিবস।’
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখে এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদীয় ডিনবৃন্দসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখার নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন অনুষদীয় শিক্ষকবৃন্দ।
এ সময় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বলেন, জাতীয় যত দিবসসমূহ রয়েছে, আমরা তাদের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে গেলে বুঝতে পারবো রোকেয়া দিবস আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যমন্ডিত একটি দিবস। কারণ আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগেও তিনি যেভাবে নারীদের জাগরণ ও এগিয়ে যাওয়ার অগ্রগামী পথিক হিসেবে কাজ করেছেন তার সুফল আজও আমাদের নারী সমাজ ভোগ করছে। আমাদের জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাও বেগম রোকেয়ার দেখানো ও উজ্জীবিত পথে আমাদের সমাজকে পরিচালিত করছেন। আর বর্তমানে দেশব্যাপী নারীদের সর্বোপরি ক্ষমতায়নই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, নারী জাগরণ ও অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪২তম জন্ম ও ৯০তম মৃত্যু দিবস। মহীয়সী এ নারী ১৮৮০ সালের এই দিনে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। বেগম রোকেয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর ‘রোকেয়া দিবস’ পালন করা হয়। বাংলার নারী জাগরণের স্বপ্নদ্রষ্টা বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সারা জীবন তিনি তার সেই স্বপ্নের কথা বলে গেছেন, লিখে গেছেন তার গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ