‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সয়েল ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।
তিনি বলেন, এই পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে যে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে হয়, তার সাথে মৃত্তিকা ও পানি সবক্ষেত্রে জড়িত। পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান মৃত্তিকা বা মাটি, যা আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিচালিত করছে। মাটি-পানি ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব। এজন্য মাটিকে দূষণের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে মাটি দূষণ রোধে সমন্বিত গবেষণা করতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন। ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর মো. সানাউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক মো. সাদিকুল আমিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সয়েল অলিম্পিয়াড, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী গৌরব কুমার পাল ও কিফায়াত আরা রিফা। এ সময় ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে টেকনিক্যাল ও ক্লোজিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৯.৩০ মিনিটে উপ-উপাচার্যের নেতৃত্বে অদম্য বাংলা চত্বর থেকে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধানসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। র্যালিতে মৃত্তিকা রক্ষায় বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ