ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষার্থীর কান ফাটালেন ইবি ছাত্রলীগ কর্মী রুমন

প্রকাশনার সময়: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪২ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৬

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আঘাত করে কানের পর্দা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগ কর্মী মিনহাজুল হক রুমনের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) এ ঘটনায় প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী।

এরআগে গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী এনামুল হক আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত রুমন লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগেও তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় বদরুল আমিন পিয়াস (ফোকলোর স্টাডিজ ২০১৮-১৯) তাকে বাইক থামাতে বলে। এরপর তার সাথে কথা বলে পুনরায় বাইক চালু করে ভুক্তভোগী চলে যাচ্ছিলেন। বাইক নিয়ে একটু সমানে এগোতেই মিনহাজুল হক রুমন (লোক প্রশাসন ২০১৭-১৮) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে জিয়া মোড়ে পেছনে থেকে দৌড়ে এসে হামলা করেন। এসময় তারা ভুক্তভোগীর বাম কানে প্রচণ্ড আঘাত করে। পরে সে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বলেন। পরে কুষ্টিয়ায় নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা এম এ মান্নানকে দেখান। তিনি কানের পর্দা ফেটে গেছে বলে নিশ্চিত করেন। অপারেশন না করা হলে এ সমস্যা কখনো ঠিক হবে না বলেও জানান তিনি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুষ্ঠু বিচার ও অপারেশনের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, রুমন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সাথে কাজ করে। তার নেতৃত্বে কয়েকজন আমার উপর হামলা করে। আমি এর ক্ষতিপূরণ ও বিচার চাই।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, রুমন ১ম বর্ষ থেকেই হলে থাকে। সে আমার সাথে রাজনীতি করে না তবে তার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুমনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, গতকাল আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সে ছাত্র উপদেষ্টার কাছেও অভিযোগ দিয়েছে। ছাত্র উপদেষ্টার সাথে এবং প্রক্টরিয়াল বডির অন্য সদস্যদের সাথে কথা হয়েছে। এটা নিয়ে আমাদের একটা যৌথ মিটিং হবে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় গত ২২ নভেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে যান। তবে ব্যস্ততার দেখিয়ে তারা ওইদিন অভিযোগ গ্রহণ করেননি বলে জানা গেছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ