ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মৈমনসিংহ-গীতিকা ইংরেজদের সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে সাহায্য করেছে

প্রকাশনার সময়: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৫ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৮

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, আমাদের দেশে সবকিছু ছিল। আর ছিল বলেই ব্রিটিশ উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল। এদেশের মাটি খুঁড়লেই ওয়ারি বটেশ্বর, পাহাড়পুর, নালন্দা পাওয়া যায় কিন্তু বিদেশের অনেক দেশেই মাটি খুঁড়লে কিছুই পাওয়া যাবে না। ইংরেজদের সাম্রাজ্য একদিনে ধ্বংস হয়নি। মৈমনসিংহ-গীতিকা ইংরেজদের সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে সাহায্য করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল কনফারেন্স কক্ষে শ্রীদীনেশচন্দ্র সেন সংকলিত মৈমনসিংহ-গীতিকার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উপাচার্য আরও বলেন, এদেশের তরুণ সমাজের জন্য মৈমনসিংহ-গীতিকা একটি আলোর দ্যুতি। তরুণদেরকে মৈমনসিংহ-গীতিকা পড়তে হবে এবং মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে একটি সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। আমাদের অতীত অত্যন্ত উজ্জ্বল ছিল সেই উজ্জ্বলতাকে ফিরিয়ে আনাই হবে মৈমনসিংহ-গীতিকার শতবর্ষ উদযাপনের মূল প্রেরণা। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়ার পেছনে যাদের অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে আচার্য শ্রীদীনেশচন্দ্র সেন অন্যতম। বাঙালিদের দেশের প্রতি ভালোবাসা তৈরি এবং দেশের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টিতে মৈমনসিংহ-গীতিকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটির প্রকাশের শতবর্ষ উদ্যাপন করতে পেরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত।

উল্লেখ্য, মৈমনসিংহ গীতিকা শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আচার্য দীনেশন্দ্র সেন রিসার্স সেন্টারের পরিচালক ও আচার্য শ্রীদীনেশন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী অধ্যাপক দেবকন্যা সেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান। আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন মৈমনসিংহ গীতিকা শতবর্ষ সংখ্যা ‘জলদ’ এর সম্পাদক স্বপন ধর, স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর, অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হানা আক্তার।

আলোচনা সভার শুরুতে অনুষ্ঠানের লোগো উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর সম্পাদিত মৈমনসিংহ-গীতিকা শতবর্ষ-প্রকাশনা গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সঙ্গীত বিভাগ ও থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসময় একটি পালা উপস্থাপন করে।

আলোচনা সভা শেষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আচার্য দীনেশন্দ্র সেন রিসার্স সেন্টারের পরিচালক ও আচার্য শ্রীদীনেশচন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী অধ্যাপক দেবকন্যা সেনের সভাপতিত্বে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে ‘মৈমনসিংহ গীতিকা ও ম্যাজিক রিয়ালিজম: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিল্পরীতির তুলনামূলক আলোচনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাজ স্বর্ণ প্রভা।

‘Tale of Religious Coexistence: A Critical Analysis of Maimansingh Gitiaka’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লিভা হক। মৈমনসিংহ গীতিকায় ‘লোক উপাদান’: কনটেক্সটচুয়াল এপ্রোচ পর্যালোচনা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী আতিভা ইভা। সেমিনারে পাঠকৃত তিনটি প্রবন্ধের আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. উপল তালুকদার।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ