ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ল্যাবরেটরির কার্যপ্রণালি বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষকের বই প্রকাশ 

প্রকাশনার সময়: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:২৪

ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন পরীক্ষা করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে প্রধান যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা হচ্ছে কিভাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও পরীক্ষার উপাদানগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা করলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল সহজে পাওয়া যাবে।

আমাদের দেশে অন্য আরেকটি বড় সমস্যা দেখা যায়, তা হচ্ছে শিক্ষক সংকট। যার কারণে অধিকাংশ শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সাথে ল্যাবে বেশি সময় দিতে পারেন না। যা শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাবে কাজ করার অনাগ্রহ সৃষ্টি করতে ভূমিকা রাখে। অনেকটা এই কারণেই দেশের শিক্ষার্থীরা গবেষণায় পিছিয়ে পড়ছে।

এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপাদান নিয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করতে না পারলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

শিক্ষার্থীদের এই সমস্যাকে সামনে রেখে 'ল্যাবরেটরির কার্যপ্রণালি বিষয়ে' গবেষণামূলক বই লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বশেমুরবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তরিকুল ইসলাম।

বইটি এ বছরের ডিসেম্বরে আমেরিকার বিখ্যাত নোভা সাইন্স পাবলিকেশন কর্তৃক প্রকাশিত হচ্ছে। এ মাসের শুরুতে তাদের ওয়েবসাইটে বইটির পরিচিতি প্রকাশ করেছে। বইটির বিক্রয়মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ২৩০ মার্কিন ডলার। বইটি যে কেউ নোভার ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করতে পারবেন।

প্রাথমিকভাবে বইটিতে জীব বিজ্ঞান অনুষদের সব ধরনের ল্যাব পরীক্ষার ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে প্রতিটি পরীক্ষা ধাপে ধাপে শুরু থেকে শেষ একজন শিক্ষার্থী কিভাবে করবেন এবং কোন পদ্ধতি ও কোন পদার্থগুলো ব্যবহার করলে সহজে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে তা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও একজন শিক্ষার্থী তার গবেষণারপত্রটি কিভাবে লিখবেন তাও বর্ণনা করা হয়েছে। বইটিতে পিএইচডি গবেষকরাও ব্যবহার করতে পারবেন। মূলত বইটি একজন শিক্ষার্থীকে নির্দেশক হিসেবে সাহায্য করবে।

বইটির বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড.মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি মনে করছি বইটি শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, তরুণ গবেষক সবার জন্য উপযোগী। বইটি কাছে থাকলে একজন শিক্ষার্থী বা একজন গবেষকের কখনো মনে হবে না তার পাশে একজন গাইড বা সুপারভাইজার নেই। শিক্ষক সংকট এবং বিভিন্ন কারণে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারে না, বইটি হাতে থাকলে শিক্ষার্থীরা সুবিধা পাবে। আর শিক্ষকরাও ভালোভাবে জেনে বুঝে আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারবে'

তিনি আরও বলেন, ' আমার একটি দাবি থাকবে যেহেতু বইটি প্রথম প্রকাশিত হচ্ছে, তাই এতে ভুল-ভ্রান্তি থাকতে পারে। পাঠক সমাজের কাছে দাবি থাকবে, ভুলগুলো নোট করে রেখে আমাকে দিলে পরবর্তী সংস্করণে ঠিক করে নেওয়া হবে। পাঠকদের সাড়া পেলে ব্যয়বহুল পরীক্ষা পদ্ধতিগুলোও সংযুক্ত করা হবে।'

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ