ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ইমদাদুল হক মিলন ও মাহবুব ময়ূখ রিশাদ

প্রকাশনার সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৩২

সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও নবীন সাহিত্য শ্রেণিতে মাহবুব ময়ূখ রিশাদ 'এক্সিম ব্যাংক- অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩' পেয়েছেন।

শুক্রবার ( ১০ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা অ্যাকাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছরের পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্মরণে এবং দেশের নবীন-প্রবীণ কথাসাহিত্যিকদের অনুপ্রাণিত করতে ২০১৫ সালে এক্সিম ব্যাংকের সহযোগিতায় পাক্ষিক 'অন্যদিন' এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন।

আব্দুল্লাহ নাসেরের সঞ্চালনায় শামা রহমানের সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘অন্যদিন’এর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. আব্দুল বারী ও নির্মাতা সংগীতশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের সাহিত্যের জন্য আমাদের হুমায়ূন আহমেদের খুবই দরকার ছিল। হুমায়ূন আহমেদ যদি আজকে থাকতেন, তাহলে হয়তো সামগ্রিকভাবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য আরও সামনে যেতে পারতো। আমি এইটুকু আশাবাদী যে হুমায়ূন আহমেদ থেকে শুরু করে ইমদাদুল হক মিলনসহ নবীন সাহিত্যিক এবং তার বাইরেও যে বিশাল এক সাহিত্যিক গোষ্ঠী আমাদের গড়ে উঠছে তারা পৃথিবীর বুকে বাংলা ভাষার যে অবস্থান, সেই অবস্থানকে বাংলা সাহিত্যের অবস্থানে পরিণত করবে। বাংলা সাহিত্যকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যে পরিণত করবে সেই প্রত্যাশা আমি ব্যক্ত করতে পারি।

বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি, কথাশিল্পী ও ইমিরেটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, নিঃসন্দেহে ইমদাদুল হক মিলন বাংলা সাহিত্যের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমি নিশ্চিত ইমদাদুল হক মিলন আরও লিখবেন। মাহবুব ময়ূখ রিসাদ ভিন্ন ধারার লেখক। বিচিত্র অধিবাসীদের নিয়ে তার গল্প। তার ভাষা তার চিত্রকর্ম নির্মাণ খুবই অসাধারণ।

ইমদাদুল হক মিলন এক্সিম ব্যাংক ও অন্যদিন’কে হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পুরস্কারপ্রাপ্তি অনেক অনেক আনন্দের একজন লেখকের জন্য। একজন লেখক যখন পুরস্কার পান তখন তার মনে হয় যে তিনি যে কাজটি করেছেন তার একটি মূল্যায়ন হলো। আজ পুরস্কারপ্রাপ্তির আনন্দের সঙ্গে আমার মন বিষাদে ছেয়ে আছে। তিনি বড় অকালে চলে গেছেন। যদি তিনি বেঁচে থাকতেন, তবে তিনি আরও লিখতেন। বাঙালি পাঠক তার সৃষ্টিশীলতায় উজ্জ্বীবিত হয়ে থাকত। আমি মন্ত্রমুগ্ধ থাকতাম, আবিষ্ট হয়ে থাকতাম, সেটাই হতো আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।

মাহবুব ময়ূখ বলেন, ‘আমার গল্পে আমি ম্যাজিক ক্রিয়েট করতে চাই। সে হোক বাস্তব কিংবা অবাস্তব। হুমায়ূন আহমেদের নামাঙ্কিত এ পুরস্কার আমাকে সে পথে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’

সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য সাত লাখ টাকা পুরস্কার, নবীন সাহিত্যশ্রেণিতে অবদানের জন্য তিন লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও পুরস্কার প্রাপ্তদের ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ