ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুই মাস পর নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশনার সময়: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৫০

ক্লাস শুরুর দুই মাস পর নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এর আগে চলতি বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের মধ্য দিয়ে ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক, কলম এবং কোর্ট ফাইল দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীকে বিকশিত করার প্রক্রিয়া হলো এই শিক্ষা। শিক্ষা হলো মানবমুক্তির হাতিয়ার। আমরা তোমাদের যে বিদ্যা দিবো, সেটা যখন তোমরা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করবে তখন সেটা হবে শিক্ষা। আমি তোমাদের অনুরোধ করবো, তোমাদের মধ্যে যে অমিত সম্ভবনা আছে সেটার পরিপূর্ণ বিকাশে তোমরা ব্রতী হবে। তা যাতে কোনোভাবে ব্যত্যয় না ঘটে সে বিষয়ে তোমরা খেয়াল রাখবে। প্রত্যেকটা সময়কে তোমাদের মেনে চলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যই হলো তোমাদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। সে অনুযায়ী তুমি নিজেই তোমাকে পরিচালিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো খারাপ দুটোই আছে। তোমরা ভালোকে গ্রহণ করে মন্দকে বর্জন করবে। ভালো খারাপের বাছ-বিচার তোমাদেরই করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লড়াই কেমন ছিল সেই কথা চিন্তা করে তোমাদের দিক-নির্দেশনা দিতে চাই। তা যদি তোমরা অনুসরণ না করো, গুরুত্ব না দাও তাহলে তোমাদের যে লক্ষ্য, তোমাদের পরিবারের যে লক্ষ্য তা থেকে বিচ্যূত হয়ে যাবে। তোমরা যেহেতু শিক্ষার্থী, তাই তোমাদের প্রথম কাজ হবে শিক্ষা ও গবেষণা। এখানে হতাশ হওয়া যাবে না। কোনো হতাশা যেন তোমায় টলাতে না পারে। বরং জীবনের যা কিছু সমস্যা তোমার সভাপতি, ডিন, প্রক্টরসহ বড় ভাইদের সহায়তা কামনা করবে। আমরা চাইবো এই নবীন শিক্ষার্থীদের একজনও যেন তাদের লক্ষ্য থাকে বিচ্যূত না হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, তোমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একেকটা ফুল। সেই ফুল হিসেবে ক্যাম্পাস অলংকৃত করবে। আমি প্রক্টর হিসেবে অঙ্গীকার করছি, ক্যাম্পাসে তোমাদের যেকোনো সমস্যায় প্রক্টর অফিস তোমাদের পাশে থাকবে। এই ফেসবুকের যুগে তিলকে তাল করা হয়। যেকোনো বিষয়ে তোমরা সতর্ক হয়ে সবকিছু বিবেচনা করবে।

এ সময় নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সজল কুমার। তিনি বলেন, ভর্তি হওয়ার পূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্ক যা শুনেছিলাম সেখান থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখি। সেই স্বপ্নের ভূমি মতিহারের সবুজ চত্বর পেয়েছি। প্রায় এক মাস আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ও গবেষণার বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। নিজেদের স্বপ্নকে লালিত করতে এসেছি। বুঝেছি আমরা সকলেই এই সবুজ চত্বরের কাছে দায়বদ্ধ

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ূন কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান প্রামাণিক। এছাড়াও বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, অনুষদের ডিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ