ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে ইন্টারনেট ভোগান্তি

প্রকাশনার সময়: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৪৪

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আবাসিক ডরমিটরি ভবন 'ব্রহ্মপুত্র নিকেতন' এ দেখা দিয়েছে ইন্টারনেট ভোগান্তি। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) থেকে বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ। যার ফলে গবেষণাসহ বিভিন্ন কাজে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ডরমিটরিটির আবাসিক শিক্ষকদের।

জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রজেক্ট হিসেবে লাগানো রাউটার, ক্যাবল ও সুইচসহ ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রনিকসের বয়স ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও করা হয়নি পরিবর্তন। ফলশ্রুতিতে দেখা মিলেছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট। মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্নও হয়ে যায় ইন্টারনেট ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটের এমন মুমূর্ষু অবস্থার ফলে অনেক শিক্ষকই ব্যবহার করেন ব্যক্তিগত ডাটা। ২০২১-২২ অর্থবছরে রাউটার, ক্যাবল ও সুইচ পরিবর্তনে আইসিটি সেল থেকে নথি পাঠানো হলেও আমলে নেয়নি তৎকালীন প্রশাসন। পরবর্তীতে ইন্টারনেটের এই দূরাবস্থা দূরীকরণে আইসিটি সেলের দেখা যায়নি কোনো পদক্ষেপ কিংবা প্রচেষ্টা। ডরমিটরিতে ইন্টারনেটের এমন রুগ্ন অবস্থা নিয়ে বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন অনেক শিক্ষকই।

এ বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান (নিউটন) বলেন, ডরমিটরিতে সংযুক্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবস্থা একদমই মন্থর গতির। আমি এ জন্য ব্যক্তিগতভাবে ইন্টারনেট কিনে ব্যবহার করি।

অগ্নি-বীণা হলের প্রাধ্যক্ষ কল্যানাংশু নাহা বলেন, আমি যে অংশে থাকি সেটির রান্না ঘরে ইন্টারনেট পেলেও বেডরুমে পায় না। আমি মাঝে মাঝে রান্না ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। কিছুদিন থেকে আমি ডাটা কিনে ব্যবহার করতেছি। কেন এই অবস্থা সেটা আইসিটি সেল বলতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, রাউটার, ক্যাবল ও সুইচগুলো অনেক পুরনো। ২০২১-২২ অর্থবছরে ড. মো. সুজন আলী (শেখ সুজন আলী) স্যার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমি এগুলো পরিবর্তনের জন্য একটি নথি পাঠিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন সেটিকে আমলে নেয়নি। ইন্টারনেট বিল ইউজিসি থেকে দেওয়া হয়। শিক্ষকরা যেহেতু ইন্টারনেট বিল দেয় না সেহেতু এটির পিছনে টাকা ব্যয় করা হবেনা বলে জানানো হয়। তারপরে বর্তমানে ইন্টারনেট ও ওয়েবসাইট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সেলিম আল মামুন স্যারকেও বেশ কয়েকবার বলেছি। কাজ হয়নি। অনেকে আমাকে মৌখিক অভিযোগ করলেও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমার কিছুই করার নেই। আমি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে চাকরিতে জয়েন করেছি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি একাই নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার। আমার জনবলও নেই। যখন ভবনগুলো তোলা হয়েছে তখন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ নেওয়া হয়নি বলে মনে হয়। যার ফলে বিভিন্ন সময় নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ইন্টারনেট সামগ্রীগুলো পরিবর্তন করা হলে ইন্টারনেট সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট ও ওয়েবসাইট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সেলিম আল মামুনকে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি তিনি। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মেলেনি সাড়া।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ