ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঝুঁকিপূর্ণ পবিপ্রবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ

প্রকাশনার সময়: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:০৫

জলাবদ্ধতা, লম্বা ঘাস কিংবা সারি সারি কচু গাছে আচ্ছাদিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। নেই যথাযথ তদারকি। মাসের পর মাস ধরে পড়ে আছে অবহেলা ও অব্যবস্থাপনায়। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের এ অব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কর্তৃপক্ষের দিকে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলাকে ইতিবাচক প্রভাবক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। অথচ মাসের পর মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠের এ দুর্দশায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চা অনেকাংশেই বিঘ্নিত হচ্ছে। ঘাস কাটা, রোলিং করা কিংবা জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ প্রায়শই উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

তা ছাড়া দিনের পর দিন অব্যবস্থাপনায় ফেলে রাখায় খেলাধুলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে এ মাঠটি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী খেলতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে গত ৩০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে একটি আবেদন জমা দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবুও কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেননি।

তা ছাড়া এ বছর জুন মাসের পর গত ৫ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়নি। যা নিয়েও শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক খেলাধুলা এবং শরীরচর্চার পরিবেশ ফেরাতে বর্তমানে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটিকে যথাযথ সংস্কার ও পরিচর্যার দাবি শিক্ষার্থীদের। একই সাথে হ্যান্ডবল ও ভলিবলসহ অন্যান্য খেলার জন্য বিকল্প মাঠের প্রয়োজনীতার কথা জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী প্রান্ত প্রতিম পাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাসীনতা ও অবহেলায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি বছরের ৬ মাসই পানির নিচে ডুবে থাকে। পরে ৩ মাসে সকল খেলাধুলা তড়িঘড়ি করে আয়োজন করা হয়, যা সকল শিক্ষার্থীর জন্য অংশগ্রহণমূলক হয় না। অবিলম্বে এসব সমস্যার সমাধান দরকার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান লাজুক বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করলেই বোঝা যাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কি অবস্থা! কেবলমাত্র দায়সারা কয়েকটি টুর্নামেন্টই কি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কাজ? এ ছাড়া আর কোনো কাজ নেই?"

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আবু হানিফ জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে সব কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত মাঠের সমস্যা সমূহ দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

খেলাধুলার আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনডোরের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় এ মুহূর্তে কোনো ধরনের ইনডোর প্রতিযোগিতা সম্ভব নয়, তবে এ বছর নভেম্বরের ভেতর ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।’

নয়া শতাব্দী/এসএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ