ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাবিপ্রবিতে ভিটিএস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

প্রকাশনার সময়: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৫

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাসের জন্য সময় অপচয় এবং ভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে গত বছরের অক্টোবরে বাসে চালু করা হয় ভ্যাহিক্যালস ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস)। কিন্তু বছর যেতে না যেতেই অধিকাংশ বাসের ভিটিএস অচল পড়েছে। বর্তমানে ৯টি বাসের মধ্যে ৩টি বাসের ভিটিএস সচল রয়েছে বলে জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল সূত্রে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসে বেসকারি প্রতিষ্ঠান প্রহরী থেকে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৯টি বাস, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যাম্বুলেন্সসহ মোট ১৯টি গাড়িতে ভ্যাহিক্যালস ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস) চালু করেন। তবে এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের বাস-১ এবং এভেঞ্জা গাড়িটি দীর্ঘ দিন নষ্ট হয়ে আছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ভিটিএস সেবা চালু হওয়ার পর প্রথম চার-পাঁচ মাস সেবার মান ভালো ছিল। তখন সবগুলো বাসের ট্র্যাকার চালু ছিল। যেকোনো সময় বাসের লোকেশন ট্র্যাক করা যেতো। কিন্তু মার্চ মাস থেকে ভিটিএসে সমস্যা শুরু হয়। তখন থেকে ৯টি বাসের মধ্যে মাত্র ৩-৪টি বাসের লোকেশন ট্র্যাক করা যায়। বাকি বাসগুলোর ট্র্যাকার বন্ধ দেখায়। সর্বশেষ গত ৩০ অক্টোবর ৩টি বাসের ভিটিএস চালু থাকতে দেখা গিয়েছে।

এ প্রযুক্তি চালু করার পর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মেলে। বাস কখন ছেড়েছে, কোথায় আছে, স্টপেজে আসতে কত সময় লাগবে মোবাইল দিয়ে শিক্ষার্থীরা এগুলো সহজেই দেখতে পেতো। এটি চালু হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বাসের জন্য সময় নষ্ট এবং ভোগান্তি উভয়টি কমেছে।

তবে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ভিটিএস প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তার বলছেন, সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত না করে এ প্রযুক্তির পেছনে অর্থ ব্যয় করা বিশ্ববিদ্যালয় উচিত হয়নি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিটিএসগুলো সচল করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ মাহমুদ রাকিব বলেন, ভিটিএস চালুর পর এর কিছু সুফল আমরা পেয়েছি। আগের মতো অহেতুক দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না, বাস কখন স্টপেজে আসবে সেটা দেখেই বের হতাম। কিন্ত বর্তমানে ৯টি বাসের অধিকাংশেরই ট্র্যাকিং সিস্টেম অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে বাসের জন্য আগের মতো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিভা কুন্ডু বলেন, ভিটিএসটা এখন নামে মাত্রই আছে। এ সিস্টেমের শুরু থেকেই ঝামেলা ছিল। বাস থাকতো এক জায়গায় লোকেশন দেখাতো অন্য জায়গায়। এরপর এক এক করে ভিটিএসগুলো বন্ধ হতে শুরু করে। কিন্তু এগুলো সমাধান করার পদক্ষেপ পরিবহন পুল নেননি। যদি রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক করা না যায় তাহলে এটা চালু করে লাভ হলো কি। এর পেছনে খরচ করা হাজার হাজার টাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারতো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের প্রশাসক ড. রাহিদুল ইসলাম রাহি বলেন, কয়েকটা গাড়ির ভিটিএসের ডিভাইসে সমস্যা হয়েছে। আমরা এ সমস্যার কথা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছি। সমস্যাটি সমাধান করার জন্য তারা এই সপ্তাহে লোক পাঠানোর কথা। আশা করি তারা আসলে সবগুলো গাড়ির ভিটিএস পুনরায় সচল হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ