ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বর্ষসেরা পুরষ্কার পেলেন পাবিপ্রবির তিন সাংবাদিক

প্রকাশনার সময়: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ২১:২৮

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সংবাদকর্মীকে পুরষ্কৃত করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব। বর্ষসেরা প্রতিবেদক, বর্ষসেরা ফিচার লেখক এবং বর্ষসেরা উদীয়মান সাংবাদিক এই তিন বিভাগে তিনজনকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে নয়া শতাব্দীর আবদুল্লাহ আল মামুনকে বর্ষসেরা প্রতিবেদক, খোলা কাগজের নাজমুল ইসলামকে বর্ষসেরা ফিচার লেখক এবং কালবেলার জাহিদুল ইসলাম বর্ষসেরা উদীয়মান সাংবাদিকের পুরষ্কার দেওয়া হয়। গত এক বছরের কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে তিন সাংবাদিককে পুরষ্কৃত করা হয়।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই তিন সাংবাদিকের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় পাবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, ‘পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব তাদের একটি বছর শেষ করেছে। গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য তারা নিরলসভাবে কাজ করেছে।’

সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব সময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে। সত্য জেনে লিখতে, কখনোই পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না।’

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কলম সত্যের পক্ষে’ এটি হলো পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের স্লোগান। আমরা দেখেছি তারা শুরু থেকে এ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে পথ চলতে চেষ্টা করেছে। সত্য বুকে ধারণ করে চলা কঠিন কাজ।

তিনি বলেন, সত্যের ফলাফলও সবসময় ভালো হয় না। এটি প্রকাশ করতে অনেক ত্যাগের প্রয়োজন। সংবাদিকতা একটি ত্যাগের পেশা। এ পেশায় অনেক বাঁধা-বিপত্তি আছে। পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদেরও সে বাঁধা-বিপত্তি পাড়ি দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।

বর্ষসেরা রিপোর্টারের পুরষ্কার পাওয়ার পর আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কাজের স্বীকৃতি পেয়ে নিজের কাছে ভালো লাগছে। গত এক বছরে ঝুঁকি নিয়ে অনেকগুলো কাজ করেছি। আমি ক্যাম্পাসে প্রচলিত সাংবাদিকতার ধারার বাইরে গিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ সে জায়গাতে আমি কিছুটা হলেও সফল। এই স্বীকৃতি আমাকে আরো ভালো কিছু কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, সৃজনশীল লেখালেখির ঝোঁক অনেক আগে থেকেই। তবে লেখার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়ে ভালো লাগছে। এই অর্জন ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

এর আগে নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাবিবুল্লাহ, প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর ড. লোকমান হোসেন, ড. মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ