ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গবিতে বিশ্ব ডিম দিবস পালন

প্রকাশনার সময়: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৫১

'স্বাস্থ্যবান ভবিষ্যতের জন্য ডিম' এ প্রতিপাদ্যে সামনে রেখে বর্ণিল আয়োজনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপিত হয়েছে। ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ ও পোল্ট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ গণ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে এ দিবস পালন করা হয়।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে থেকে অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ক্যাম্পাস ও এর সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষদের একটি করে ডিম খাওয়ানো হয়।

এফভিএএস'র সাধারণ শিক্ষার্থী মো. রুমন হোসেন বলেন, দিবসটি পালন করা হয় মূলত সাধারণ মানুষকে ডিমের যে গুণাগুণ সেই বিষয়টি অবগত করার জন্য। ডিমের অনেক উপকারিতা আছে, যা আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিৎ এবং প্রতিদিন অন্তত দুটি করে ডিম খাওয়া প্রয়োজন। বর্তমান বাজারে ডিমের যে মূল্যস্ফীতি, খামারিদের দোষ বলব না, দোষটি কয়েক গোষ্ঠীর সাথে জড়িত। সরকারের উচিৎ এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

ভেটেরিনারি অনুষদের ইন্টার্ন শিক্ষার্থী ও পোল্ট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ গণ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের লিডার সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। যাকে ডিমেনশিয়া বলে। ডিমে কোলিন নামক এসেনশিয়াল নিউট্রিয়েন্ট থাকে। যা ব্রেইনের শক্তি বৃদ্ধি করে। ৯ ধরনের এমাইনোএসিড থাকে। যা মস্তিষ্কের সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন স্ট্রেস ও এংজাইটি কমিয়ে মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই স্ট্রেস, এংজাইটি, ডিমেনশিয়া, আ্যলঝাইমারসসহ একাধিক ব্রেইন ডিজিজ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত।

প্যারা ক্লিনিক্যাল বিভাগের সহকারী প্রভাষক ডা. উত্তম কুমার রয় বলেন, ডিম একটি সুপার ফুড। এতে সকল ধরনের পুষ্টি বিদ্যমান। এটি খেলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি শিশু হতে বয়স্ক সকল ধরনের খেতে পারে। নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রত্যেকটি মানুষের প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। তাই সকল মানুষকে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

এনিমেল প্রোডাকশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রুকনুজ্জামান বলেন, ডিম একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের উৎস। বরাবরই ডিম আমাদের দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণে বড় ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভিন্ন কারণে দেশে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়া একটি চিন্তার বিষয়। তবে বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করা এর সমাধান নয় কারণ এই শিল্পের সাথে অনেক মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত। সরকারের উচিৎ দেশে সুলভ মূল্যে ডিম উৎপাদন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফলপ্রসূ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

উল্লেখ্য, ডিমকে বিশ্বে একটি উন্নতমানের ও সহজলভ্য আমিষ জাতীয় খাদ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি) স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৮০। সংস্থাটি প্রাণিজ আমিষের চাহদিা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন এবং সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে। যা পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার পালিত হয়ে আসছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ