সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহনশীলতা ও সহমর্মিতার শিক্ষা পরিবার থেকে গ্রহণ করতে হবে। পরস্পরের প্রতি সম্মান এবং সংবেদনশীল আচার-আচরণের মধ্য দিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল স্রোতে আনতে হবে।’
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ৷
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৬৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতে প্রত্যেকের নামে ইস্যুকৃত ৬ হাজার টাকার চেক ও একটি করে গোলাপ ফুল তুলে দেওয়া হয়।
দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অন্যতম লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সমাজসেবা এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধুর হাত দিয়েই যাত্রা শুরু করে। এদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করা এ মন্ত্রণালয়ের অন্যতম লক্ষ্য। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এ লক্ষ্য ব্যাহত হয়। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভাতাসহ তাদের জন্য যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এ বিশ্ববিদ্যালয় যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে। উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং শিক্ষার্থীদের সহযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ