শিক্ষার জন্য সুস্থ পরিবেশ বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএনসিসি।
এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কেউ ঝাড়ু দিয়ে স্কুলের আঙিনা পরিষ্কার করেছেন, কেউ কীটনাশক স্প্রে করে ধ্বংস করেছেন পরিত্যক্ত পানিতে জন্মানো মশার লার্ভা। আবার উড়ন্ত মশা দমনে কেউ করেছেন ফগিং।
বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এভাবে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মীদের।
ডিএনসিসি সূত্র জানিয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। স্কুল খোলার আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে অবস্থিত সরকারি, বেসরকারি ৪৪৩টি স্কুলে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে। যাতে স্কুলপড়ুয়াদের জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলবে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর। তবে যে ৪৭টি স্কুলে গণটিকা কার্যক্রম চলছে, সেসব স্কুলে ১১ সেপ্টেম্বর পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলবে।
গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৮, ৯ ও ১০ তারিখ সরকারি আধা সরকারি স্কুলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও মশক নিধন কর্মীরা সমন্বয়ে কাজ করবে। সকল স্কুলের পরিচালক, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অনুরোধ করব আপনারা স্কুল খোলা রাখবেন। মনিটরিং করবেন। কারণ দেড় বছর পরে স্কুল খোলা হচ্ছে। বাচ্চারা পড়তে আসবে। তাদের জন্য সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, কোভিডের চ্যালেঞ্জের সময় যেন ডেঙ্গুর চ্যালেঞ্জ না হয়। প্রত্যেক স্কুল পরিচ্ছন্নতার আওতায় আনতে হবে, একটি স্কুলও যেন বাদ না পড়ে।
এ সময় মেয়র স্কুলের পরিস্থিতি জানাতে ডিএনসিসির হট নম্বরে (০৯৬০২২২২৩৩৩, ০৯৬০২২২২৩৩৪) যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি বলেন, তথ্য জানালে আমাদের কর্মীরা চলে যাবে।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, শিক্ষার্থীদের সুস্থ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ খুবই জরুরি। তাই প্রত্যেকটি বাসাবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের খোলা প্যাকেট বা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন।
মেয়র বলেন, সময়ের প্রয়োজনে লজ্জা পরিহার করে সবাই মিলে দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার স্লোগানটিকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে আরো জোরদার করে সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে সফল করতে হবে।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার তাই বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতেই গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ