ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিয়ের চারমাস পর স্ত্রীকে অস্বীকার করলেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশনার সময়: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৪২

হুজুর ডেকে বিয়ে করে চারমাস একসঙ্গে বসবাসের পর স্ত্রীকে অস্বীকার এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক হল শাখা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সেইসাথে স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও রাজনৈতিক ভয়ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগ মিলছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয় দেওয়া ওই নারী রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মমিনুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সেইসঙ্গে সৈয়দ আমির আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ফিশারিজ বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি নড়াইল জেলায়।

অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্র মমিনুল ইসলাম একটা হুজুরকে ডেকে মিথ্যা বিয়ের নাটক করে এবং স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আমার সঙ্গে বসবাস করে। বিগত চারমাস আমি তার সাথে সংসার করেছি। কিন্তু কিছুদিন ধরে তার আচার-ব্যবহার খুবই খারাপ দেখি এবং আমার সাথে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ সময় আমার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। আমার বাবা পঙ্গু, তার সাথে আমার যোগাযোগ নেই। আমার মা হার্ট অ্যাটাকের রোগী। আমার কোনো অভিভাবক নেই। সেই সুযোগে মমিনুল আমাকে রাজনৈতিক ভয় দেখায়। আমি আপনার কাছে সাহায্য চাচ্ছি। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।

ভুক্তভোগী অভিযোগের বিষয়ে বলেন, বিগত চার মাস ধরে আমরা কাজলায় একটা ভাড়া বাসাতে থাকতাম। রাঙামাটিসহ বিভিন্ন জায়গায় একসাথে আমরা ঘুরতেও গিয়েছি। কিন্তু এখন মমিনুল আমাকে অস্বীকার করছে। বিয়ের কথা বললে সে ছাত্রলীগের হুমকি দেয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। থানায়ও জানিয়েছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা এবং একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর সাইকা কবির নিতুকে আহ্বায়ক করে জহুরুল আনিস এবং মাহফুজুর রহমানসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলবে। এটি যেহেতু বাইরের কেস তাই অভিযোগের সত্যতা মিললে সমাধানের জন্য থানায় পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহকারী প্রক্টর সাইকা কবির নিতু বলেন, আমি এখনও অভিযোগপত্রটি হাতে পাইনি। বিকেলের মধ্যেই আমি সেটি সংগ্রহ করে কমিটির সদস্যদের নিয়ে কাজ শুরু করবো।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মৌখিকভাবে ওই শিক্ষার্থী আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ