ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্দা নামলো সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের

প্রকাশনার সময়: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:৩০

চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পুরস্কার প্রদান এবং বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো ৫ম সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের। তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে বিশ্বের ১১১দেশের ১০৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

রোববার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটায় উৎসবের শেষ দিনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ৯টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয়।

এবারে আসরে মোট ৯টি ক্যাটাগরিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, বাংলাদেশি নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে গোলাম রাব্বানী পরিচালিত মিরাকেল ইন হ্যাভেন (বাংলাদেশ), আন্তর্জাতিক নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে আলজেন্ড জিওরল্যান্ডো পরিচালিত রেসেস (আর্জেন্টিনা), সেরা সম্পাদক- হোয়্যার ইজ দ্যা গভর্নর চলচ্চিত্রের কেব তেজেদা (মেক্সিকো), সেরা সিনেমাটোগ্রাফার- চিলেকোঠা চলচ্চিত্রের সৌমজয়তি সরকার (ভারত), সেরা অভিনেতা- দ্যা মিডনাইট গার্ল চলচ্চিত্রের খায়রুল বাশার (বাংলাদেশ), সেরা অভিনেত্রী- দ্যা ডেলিভারি চলচ্চিত্রের মার্তা সিসলোয়িকজ (পোল্যান্ড)।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আতিকুজ্জামান বিজয়ীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর পার্থ প্রতিম বর্মন, অধ্যাপক ড. মাহবুব আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি।

অধ্যাপক ড. আতিকুজ্জামান বলেন, ‘চলচ্চিত্র একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম যার ফলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি কালচার ফুটে উঠে। বিশ্বের যে ১১১ দেশ থেকে চলচ্চিত্রগুলো জমা পড়েছে তাদের সাথে আমাদের দেশের একটা যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের চলচিত্র উৎসব আগামীতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।’

বাংলাদেশি নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী মিরাকেল ইন হ্যাভেনের পরিচালক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এখানে পুরস্কার পেয়ে নিঃসন্দেহে খুব ভালো লাগছে। এ ধরনের পুরস্কার আমাদের মতো নির্মাতাদের খুবই উৎসাহ প্রদান করে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা অনেক সুন্দর একটা প্রোগ্রাম সফলভাবে আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে।

জানা গেছে, এবারের উৎসবে বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৬৫ টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে থেকে বাছাইকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলেয়ে মোট ১০৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

জুরি বোর্ডে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, অভিনেতা মনোজ কুমার, নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালাম, চলচ্চিত্র সমালোচক ও কিউরেটর প্রেমেন্দ্র মজুমদার ও ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সিদ্ধার্থ মাইতি, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ