ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাবিপ্রবিতে মেসে ছাত্রীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৪৩

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সিনিয়রদের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ক্যালিকো কটন মিলের পাশে একটি মেসে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম শিমু রাণী তালুকদার। তিনি ইতিহাস বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে রিএডমিশন নিয়ে বর্তমানে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাথে ক্লাস করছেন বলে জানা গেছে।

র‍্যাগিংয়ের পর ওই ছাত্রীকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রোববার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বন্ধুরা তাকে মেসে নিয়ে আসেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কয়েকজন বন্ধু জানান, শনিবার রাত ৮ টার দিকে পরিসংখ্যান বিভাগের রুকাইয়া, সাদিয়া পারভিন সোমা, তাসলিমা, গুলনাহার, সুমাইয়া, সাকিলা, সুমাইয়া, লোকপ্রশাসন বিভাগের সায়েদা সুলতানা শাওন, ইংরেজি বিভাগের ইসরাত জাহান ইমুসহ মেসের কয়েকজন ইমিডিয়েট সিনিয়র আপু তাকে মেসের ছাদে ডেকে নিয়ে যান। তারা ম্যানার শেখানোর নামে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। এভাবে রাত ১১টা পর্যন্ত চলার পর শিমু অসুস্থ হয়ে যায়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান সিনিয়র আপুরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিমু রাণী তালুকদার বলেন, আমি অনেকদিন থেকে অসুস্থ। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে সিনিয়র আপুরা বিভিন্নভাবে আমার দোষ ধরে যাচ্ছেন। আমার ব্যবহার ভালো না, সালাম দেই না, সম্মান করি না, এভাবে নানা বিষয়ে দোষ ধরতে থাকেন। গতকাল শনিবার রাতে আমাকে উনারা মেসের ছাদে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আমাকে ম্যানার শেখানোর নামে বকাঝকা করতে থাকেন। এরপর আমার শরীর খারাপ লাগলে আমি ওয়াশরুমে যাই কিন্তু উনারা আমাকে ওয়াশরুমে থেকে আবার ছাদে নিয়ে যায়। তখন আমি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে উনারা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, আমি ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। রি-অ্যাডমিশন দেওয়ার কারণে আমি পুনরায় প্রথম ব্যাচের সাথে ক্লাস করছি। সেক্ষেত্রে যারা আমাকে র‍্যাগ দিয়েছে তারা আমাকে ম্যানার শেখানোর নামে কোনো দুর্ব্যবহার করতে পারে না। এ বিষয়টি জানার পরও তারা আমার সাথে কয়েকদিন ধরে দুর্ব্যবহার করছেন।

তবে ওই শিক্ষার্থীকে হেনস্তার বিষয়টি অস্বীকার করেন সিনিয়ররা। পরিসংখ্যান বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুকাইয়া ইসলাম বলেন, তাকে কোনরকম মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়নি। আমরা শুধুমাত্র মেসের নিয়ম-কানুন জানানোর জন্য সব জুনিয়রকে ডেকেছিলাম। শিমুর অসুস্থতার ব্যাপারে আমরা জানতাম না।

এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাবিবুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ওই শিক্ষার্থীর অসুস্থতার বিষয়ে জানতে পেরে সাথে সাথেই হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু র‌্যাগিংয়ের ব্যাপারে আমাকে ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে কিছু জানায়নি।

শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি এ ব্যাপারে অবগত নই। আর কোনো অভিযোগও পাইনি। ভুক্তভুগী শিক্ষার্থী আমাদের কাছে অভিযোগ করলে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ