ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাবির হলে খাবারের দাম বৃদ্ধি, প্রতিবাদে ক্যান্টিনে তালা

প্রকাশনার সময়: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হলের ক্যান্টিনে তালা দিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় খাদ্যের বর্ধিত মূল্য কমানোর দাবি জানানো হয়। পরে হল প্রাধ্যক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনের তালা খুলে দেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ ও ক্যান্টিন মালিক আলোচনা করে খাবারের দাম বৃদ্ধি করেছে। খাবারের মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় হল কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরও রয়েছে। তবে দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাবারের দাম বাড়িয়েছিল ক্যান্টিন মালিক খোকন। তখন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হল প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ক্যান্টিন মালিককে খাবারের দাম কমানোর দাবি জানানো হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের কথায় কর্ণপাত না করে খাবারের দাম বেশি নিচ্ছিলেন ক্যান্টিন মালিক। খাবারের দাম বেশি নিলেও খাবারের মান যথেষ্ট খারাপ বলে জানান শিক্ষার্থীরা। খাবারের মান ভালো করার কথা জানালে ক্যান্টিন মালিক খাবারের মান বৃদ্ধিতেও কোনো নজর দেয়নি। এরপর বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আবার দাম বৃদ্ধি করে নতুন মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হয়।

তবে হলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ক্যান্টিন মালিক ওই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীকে বিনা টাকায় খাওয়ান। মূলত তাদের মদদেই হঠাৎ খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে পরে হল প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসেন হল ছাত্রলীগ ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহ-আলম বলেন, আমরা কয়েকবার ক্যান্টিন খাবারের দাম কমানোর কথা মালিককে অবহিত করেছি। তিনি খাবারের দামও বেশি নেন আবার খাবারের মানও খুব খারাপ। ফলে আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি দাম না কমানো পর্যন্ত অবস্থান করব।

হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী শেখ মোহাম্মাদ মোজাম্মেল বলেন, আমরা ক্যান্টিন মালিককে একাধিকবার বুঝিয়েছি কিন্তু তিনি আমাদের কথা শুনেননি। আমরা এটাও বলেছি যে অন্য ক্যান্টিন নির্দিষ্ট দামে পারলে আপনি পারবেন না কেন? কিন্তু আমাদের কাছ থেকে দাম বেশি করেই রাখেন। ফলে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।

এদিকে নতুন বর্ধিত মূল্য তালিকার বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা খাবারের একটা মূল্য দিয়েছে এবং জানিয়েছে এই রেটে খাবার পরিবেশন করলে আমরা খেতে পারব। আমি সেটা নিয়ে ক্যান্টিন মালিকের সাথে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, এই তালিকায় তিনি ক্যান্টিন চালাতে পারবেন না। তখন আমি বলেছি, তাহলে আমার পক্ষেও আর আপনাকে রাখা সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, গতকাল আমাকে হল সুপার কল দিয়ে বলেছিল যে খাদ্যের নতুন মূল্য তালিকা দিয়েছে। আমি জানিয়ে দিয়েছি বাকি হলের খাবারের দামের সাথে সমন্বয় করে যেন স্বাক্ষর করে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ