ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ লজ্জাজনক’

প্রকাশনার সময়: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ২১:০০

আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ লজ্জাজনক ব্যাপার। আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি দেশের অপশক্তি বলে টেক বেক বাংলাদেশ। তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। এ অপশক্তি আইন, আদালত, সংবিধান কিছুই মানে না। তারা সরকারের পদত্যাগ চায় অথচ নির্বাচন মানে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আলোচনার জন্য তারা বিদেশিদেরকে দাওয়াত দিয়ে দেশে নিয়ে আসছে। এটি আমাদের জন্য ভীষণ লজ্জার।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জিয়া, ফারুক, রশিদ, খন্দকার মুশতাক এরা প্রকৃতপক্ষে কেউই চিন্তা-চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। না হয় মাত্র ৪ বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে তারা সরে এসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারতো না। খন্দকার মুশতাক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীনও পাকিস্তানের সাথে হাত মেলাতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৩ বছর যে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন সেই একই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এখনও লড়াই করতে হচ্ছে।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, জিয়া-এরশাদ এরা একই ধারার এবং মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির রাজনীতি করেন। এ অপশক্তির মাধ্যমেই একই সাথে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অসহযোগিতা, ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ, ৭৫ এর হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের আগস্টে গ্রেনেড হামলা সবই পরিচালিত হয়েছিল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। সংবিধানকে অনুসরণ করলেই জনগণের আস্থা অর্জন করা যায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, জনগণের ওপর আস্থাশীল। এ অবস্থায়ও বিএনপি কালো পতাকা মিছিলের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে বিএনপির ক্যাডাররা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র সরবারাহ করে বিভিন্ন জায়গায় ধরাও পড়ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের নামে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই মূলত তাদের এসব আয়োজন। তবে সরকার সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছুই করবে না।

তিনি আরও বলেন, এ সরকারকে হটানোর জন্য বিদেশিদেরকে হাত করে স্বৈরতান্ত্রিক, সন্ত্রাস এবং ধর্মীয় সন্ত্রাস দিয়ে বাংলাদেশে বিভক্তির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধী শক্তি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে যারা পুরো দেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, তারা ভেবেছিল জাতির পিতা এবং তার নিকটাত্মীয়দের হত্যার মাধ্যমে আবার আগের পাকিস্তানকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এ অপশক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এখনও তারা দেশের ক্ষতি করতে পারলে এবং যেকোনোভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারলেই যেন খুশি হয়।

কৃষিবিদ ফয়েজ আহম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউিশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম প্রিন্স, শেকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ