ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

এটিএন বাংলার বিতর্কে অংশ নেওয়া হলো না নওরিনের

প্রকাশনার সময়: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৫৩

নওরিন নুসরাত স্নিগ্ধা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মেধাবী এই শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে নিরলসভাবে কাজ করে আসছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচয় করিয়ে দিতে রেখেছেন অসামান্য ভূমিকা।

এটিএন বাংলা আয়োজিত ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। অর্জন করেছেন রানার্স আপ হওয়ার গৌরব। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন এটিএন বাংলার বিতর্কে আবারও অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তার আগেই জীবনের মায়া ত্যাগ করে সকলের আশা প্রত্যাশা ভঙ্গ করে চলে গেলেন পরপারে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী নামাবাজারের পাশে বিজয়নগর রোডে আব্দুর রহিমের মালিকানাধীন বাড়ির ছয় তালা থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

নওরিন নুসরাত টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ইসলামবাগ গ্রামের খন্দকার নজরুল ইসলামের মেয়ে। গত ২০ জুলাই ইব্রাহিম খলিল নামের একজনের সাথে তার বিবাহ হয়। তিনি তার স্বামীর সাথে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

তার স্বামী ইব্রাহিম খলিল চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার কলা কান্দা গ্রামের মৃত জহিরুল আলমের ছেলে। তিনি ভলভো ব্যাটারি কোম্পানিতে কাজ করেন।

পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তার সহপাঠীরা। তারা বলেন, তার মতো মেয়ে এভাবে আমাদের কাছে থেকে চলে যাবে আমরা ভাবতে পারিনি। এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় ক্ষতি। তার মত মেয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব।

তিনি বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শুরু থেকেই সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি কনজুমার ইয়থ বাংলাদেশ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আইন সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও ইবি ক্যারিয়ার ক্লাব, তরুণ কলাম লেখক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

ইবি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, নওরিন সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন অঙ্গনে তার পদচারণা ছিল চোখে পরার মতো। তার এভাবে চলে যাওয়াটা খুবই দুঃখজনক। এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ