ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

কুবি সাংবাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে ইবি সাংবাদিকদের পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম

প্রকাশনার সময়: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৪২ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৫০

সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাসে মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মরত সাংবাদিকরা।

রোববার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে ইবি প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে কুবি উপাচার্যকে শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা। এই সময়ের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যহার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। অন্য দাবি গুলো হলো এদিকে, এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা, সহ-সভাপতি রুমি নোমান, দপ্তর সম্পাদক মুঞ্জুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাকিব হোসেন রেদওয়ান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাহেদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমানুল সোহান, দপ্তর সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম, অর্থ সম্পাদক রাকিব রিফাত, প্রচার সম্পাদক মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ ও সদস্য ইমরান। এ ছাড়াও অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুবি উপাচার্য ব্যক্তিগত আক্রশের ফলে ইকবাল মনোয়ারকে বহিষ্কার করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কুবি উপাচার্য দুর্নীতি করবে আবার এর পক্ষে সাফাই গাইবে আর সাংবাদিকরা তা লিখলেই তাদের বহিষ্কারের মতো নেক্কারজনক পদক্ষেপ গ্রহন করবে এটা আমরা মেনে নিব না। আমরা অন্যায়ের বিপক্ষে অতীতে কলম ধরেছি, বর্তমানেও ধরছি আর ভবিষ্যতেও কলম ধরবো। হামলা, মামলা দিয়ে আমাদের কলমকে বাধাগ্রস্থ করা যাবে না।

প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা বলেন, কুবি উপাচার্য ব্যক্তিগত আক্রশে ইকবাল মনোয়ারকে বহিষ্কার করে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীন লেখনীকে বাধাগ্রস্থ করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কুবি উপাচার্যকে এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সাথে বলতে চাই শুক্রবারের মধ্যে যদি এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে শনিবার থেকে এমন আন্দোলন গড়ে তুলবো যেন কুবি উপাচার্য তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

জানা যায়, গত ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতির বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে দেশে দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। কিন্তু আমি বলব উল্টো কথা। দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে।’ উপাচার্যের এমন বক্তব্য সংবাদে তুলে ধরায় ২ আগস্ট (বুধবার) ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ