কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে স্নাতক ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দেশের আটটি কৃষি বিশ্ববদ্যালয়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উপস্থিত পরীক্ষার্থীর হার ছিল ৮৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর।
ড. মনসুর আরও জানান, এবার ভর্তি পরীক্ষায় বাকৃবি কেন্দ্রে ২১টি অঞ্চলে ২৪৬টি কক্ষে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১২ হাজার ৬২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১১ হাজার ১৪৯ জন। পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস বা অন্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সাথে বাকৃবির সমন্বয়ে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়া সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।
কক্ষ পরিদর্শন শেষে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। আমি বিশ্বাস করি পরীক্ষার্থীরা এক ঘণ্টা সাবলীলভাবে পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা উত্তরপত্রসমূহ আজকেই সিকৃবি প্রতিনিধি দলের নিকট হস্তান্তর করবো। আশা করছি তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী নবনীতা দাস বলেছেন, অনেকটা আশা নিয়েই বগুড়া থেকে এতদূরে পরীক্ষা দিতে এসেছি। পরীক্ষাও মোটামুটি ভালোই দিয়েছি। তবে গণিত আর পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্নগুলো আশানুরূপ উত্তর করতে পারিনি। গাণিতিক সমস্যাগুলোর সমাধান অনেক বড় ছিলো। সর্বোপরি পরীক্ষার পরিবেশ ভালো ছিলো। শান্তশিষ্ট পরিবেশেই পরীক্ষা দিতে পেরেছি।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ