ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঢাবি গবেষকদের চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন

প্রকাশনার সময়: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:৩৯ | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:৪৫

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক পরিবেশবান্ধব উপায়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের এক নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এ প্রযুক্তিতে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ৩০ ভাগ কমিয়ে স্বল্প খরচে উদ্ভাবিত এনজাইম ব্যবহার করে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে অধিকতর গুণগত মান সম্পন্ন ফিনিশড লেদার উৎপাদন করা সম্ভব।’

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘ILET’s research and development (R & D) innovations for the leather tanning process and solid waste management' শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য মো.আখতারুজ্জামান এসব কথা জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। দি এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ স্বাগত বক্তব্য দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এই উদ্ভাবিত এনজাইম ব্যবহার করে আনট্যানড কঠিন বর্জ্য থেকে কম খরচে পরিবেশবান্ধব উপায়ে বায়োডিজেল এবং জৈব সার প্রস্তুত করা যায়। যা দেশের নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম উৎস হতে পারে।

তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সর্ম্পক আরও জোরদারের মাধ্যমে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে দেশের চামড়া খাতকে অনন্য উচ্চতায় নেয়া সম্ভব হবে।

এ উদ্ভাবনের বাণিজ্যিকীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করে উপাচার্য বলেন, এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাগুলো দূর করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ উদ্ভাবন ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। গবেষণায় অর্থায়ন করার জন্য উপাচার্য শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত পদ্ধতিটি ইতোমধ্যে প্রগতি ট্যানারিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলেও সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তিটি বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে পেটেন্ট অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ