রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) আবাসিক হলের খাবারের মান, পুষ্টি গুনাগুণ ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এই প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের পরিচালক ড. শরমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সহযোগী পরিচালক ড. দেবু কুমার ভট্টাচার্য। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হলে দায়িত্বরত প্রভোস্টবৃন্দ।বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটারিয়ার ম্যানেজার ও রাঁধুনিদের খাবারের মান, পুষ্টিগুণ ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। খাবার রান্না করার বিভিন্ন পদ্ধতি, খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি, খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রাখার উপায়, রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার ওপর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ও ফুড হাবের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুল খান।
অনুষ্ঠানে ডাইনিং-ক্যান্টিনের ম্যানেজার, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় ডাইনিং-ক্যান্টিন ম্যানেজাররা তাদের সমস্যাগুলো উপস্থাপন করেন। পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ না থাকা, পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব, শিক্ষার্থীদের বাকি খাওয়া নিয়ে তারা অভিযোগ করেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা ডাইনিং ও ক্যান্টিনের খাবারের গুণগত মান খারাপ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খাবারে পরিবর্তন না নিয়ে আসা, বিভিন্ন হলে খাবারের দামের তারতম্যের বিষয়ে অভিযোগ করেন।
হলের খাবারের গুণগত মান ও পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে কিছু প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে হলের খাবারের তদারকির জন্য কমিটি গঠন করা, সকল হলে খাবারের অভিন্ন মূল্য তালিকা করা, কেন্দ্রীয় গবেষণা মাঠে চাষকৃত সবজি হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে সরবরাহ করা, হলের ফাকা জায়গায় সবজি চাষের ব্যবস্থা করা অন্যতম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.অলোক কুমার পাল বলেন, ‘প্রশাসনের একার পক্ষে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সমস্যার সমাধান করতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ডাইনিং-ক্যান্টিন ম্যানেজারদের সহযোগিতা দরকার। আমরা ডাইনিং-ক্যান্টিন পরিদর্শন করছি, হলগুলোকে আরও সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য সকল প্রচেষ্টা চলমান।’
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও ডাইনিং-ক্যান্টিন ম্যানেজারদের অভিযোগ লিখে নেন এবং তা দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
বিভিন্ন হল ক্যান্টিনের ম্যানেজাররা বলেন, প্রশাসন আমাদের ক্যান্টিনের সমস্যাগুলোর সমাধান করলে আমরা খাবারের মান ভালো করতে পারবো। আজকে আমরা কিভাবে খাবার সংরক্ষণ করবো, কিভাবে রান্না করলে পুষ্টি নষ্ট হবে না, কিভাবে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখবো এসব বিষয় শিখতে পেরেছি।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ