ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মানিকগঞ্জে কৃষকদের নিয়ে শেকৃবির বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

প্রকাশনার সময়: ০১ জুন ২০২৩, ১৮:১৫

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম কর্তৃক আয়োজিত মাঠ দিবস ও কৃষকদের নিয়ে মৌ, সরিষা ও ভুট্টা চাষের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ৯টায় সিঙ্গাইর উপজেলা, মানিকগঞ্জে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

শেকৃবি বহিরাঙ্গণ কার্যক্রমের পরিচালক ড. শরমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহযোগী পরিচালক ড. দেবু কুমার ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে মৌমাছির উৎপাদন প্রক্রিয়া, উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক প্রশিক্ষক ড. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ঠিক তখনই মৌ চাষ হবে যখন পাশে অধিক পরিমাণ ফুল থাকবে। বিশেষ করে সরিষা চাষের সময় মৌ চাষ অনেক সহজ এবং অল্প সময়ে অধিক মধু পাওয়া সম্ভব। মধুর মধ্যে সকল প্রকার ওষুধের গুণাগুণ থাকায় খাটি মধুর চাহিদা অনেক বেড়েছে। এটি বাণিজ্যকভাবে চাষাবাদ করলে বছরে ৪০টি বক্সে প্রায় ৫০-৬০ মণ মধু আহরণ সম্ভব। যা অর্থনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল সরিষা ও ভূট্টার জাত সম্পর্কে জেনেটিক্স ও প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক প্রশিক্ষক ড. জামিলুর রহমান বলেন, ভুট্টা এবং সরিষা উৎপাদনের জন্য মানিকগঞ্জের মাটি অনেক উর্বর। তেলজাতিয় ফসলের গুরুত্ব দিনদিন বেড়েই চলছে। তেল আমদানি না করে অধিক ফলনশীল নতুন ভ্যারাইটির জাত উৎপাদন করে তেলের চাহিদা পূরণ সম্ভব।

অধ্যাপক প্রশিক্ষক ড. জামিলুর রহমান বলেন, সাউ ক্যানোলা- ১ জুনসিয়া ভ্যারাইটির ১০৫-১১০ দিনের মধ্যে ফসল উৎপাদন প্রতি শতকে ৮ কেজি হয়। এছাড়াও আধুনিক অধিক ফলনশীল BARI- 14,17,18 প্রতি শতকে প্রায় ৬-৭ কেজি ফলন দেয়। সরকার অধিক ফলনের জন্য এই ভ্যারাইটিগুলোতে প্রচুর ভর্তুকি দিচ্ছে। তাই তেলের চাহিদা পূরনে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে অধিক ফলন উৎপাদন সম্ভব হবে। অপরদিকে সাউ ভুট্টা-১,২,৩ অধিক ফলনশীল আধুনিক ভ্যারাইটি যা ১১০-১২০ দিনের মধ্যে হেক্টর প্রতি ৬-৮ টন ভুট্টা উৎপাদন সম্ভব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. অলোক কুমার বলেন, গবেষণার বিদ্যা ও মাঠের বিদ্যার সমন্বয়ের জন্য আজকের এই কৃষক প্রশিক্ষণ। এই মানিকগঞ্জ সরিষা, ভুট্টা এবং সবজি উৎপাদনের জন্য উর্বর জমি। মানুষের গায়ে যেমন রক্ত গুরুত্বপূর্ণ তেমনি মাটিরও অর্গানিক ম্যাটারগুলো হলো রক্তের মতো। মাটি থেকে ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য জমিতে সঠিক কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিকে থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। তাই অধিক কীটনাশক না ব্যবহার করে যতটুকু প্রয়োজন ব্যবহার করা।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শরমিন চৌধুরী বলেন, কৃষিবিদদের গবেষণা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছাতে কৃষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই কৃষকদের জন্যই এই প্রশিক্ষণ। কৃষকদের সাথে সামনাসামনি কথা বলে তাদের সমস্যা অনুযায়ী সামনে সমাধান ও সম্ভাবনা নতুন দ্বার সৃষ্টি হবে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ