২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘সি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আসা শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হওয়া তীব্র যানজটে কেন্দ্রে প্রবেশে হিমশিম খেতে হয় শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার (২৭ মে) সকাল থেকেই ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসতে থাকেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সময় বাড়ার সাথে সাথে তাদের উপস্থিতি বাড়ে। তবে এদিনও সদরঘাটগামী বাস, মিনিবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের চলাচল বাড়তে থাকে। বাহাদুর শাহ পার্ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সংকীর্ণ জায়গাজুড়ে যানজট বেড়ে যায়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ও দ্বিতীয় গেট দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। সদরঘাটমুখী ও সদরঘাট থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা, মিনি ট্রাক এবং রিকশার দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। এতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরই যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আমরা যানজট নিরসনে সচেষ্ট আছি। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং যানজটের পরিমাণও বেড়ে যায়। আমরা কেন্দ্রের সামনে যানজটের চাপ কমানোর চেষ্টা করছি।’

কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, প্রচণ্ড রোদ আর গরম, এরপর আবার তীব্র যানজট৷ এতে একটু ভালোভাবে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সাময়িক সময়ের জন্য এই রোডের যানবাহন চলাচল বন্ধ করা উচিত ছিল।

এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, ‘যানজট ঠেলে এভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। তার উপর প্রচণ্ড রোদ। যানজটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আমরা ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগে আবারও চিঠি পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে গুচ্ছের বি (মানবিক) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাতেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতে তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

নয়া শতাব্দী/এসআর/এমটি