ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
পাঠ্যপুস্তকে ভুল

দায়িত্ব অবহেলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি ছাত্র পরিষদের 

প্রকাশনার সময়: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:২৬ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:২৯

পাঠ্যবইয়ে চৌর্যবৃত্তি, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদ এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়েছে।

সমাবেশে ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ খুব সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের মিশনে নেমেছে। দেশের অর্থনীতি, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ধ্বংসের পর ‘ভুল ইতিহাস, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক পাঠ্যবই প্রণয়ন’ শিক্ষা খাত শেষ করে জাতিকে ধ্বংস করছে। ৭ম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইয়ের প্রচ্ছদে প্রতিবেশী দেশের জাতীয় পাখি ও একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক পদ্মফুল ছেপেছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ইতিহাস বইতে যে কঠিন ও দুর্ভেদ্য বিষয়বস্তু সংযোজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেগুলো প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাস বিভাগে স্নাতকে পড়ানো হয়। পাঠ্যবইয়ে ন্যাশনালজিওগ্রাফিক থেকে হুবহু কপি করে গুগল ট্রান্সলেশনে বসানো হয়েছে। যা এর মধ্যে জাফর ইকবাল দায় স্বীকার করেছেন। আমরা তাকেসহ দায়িত্বে থাকা সকল লেখকদের পদত্যাগ চাই এবং অতিদ্রুত পাঠ্যবই সংশোধন করে পুনরায় ছাপানোর দাবি জানাচ্ছি।’

কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে এখন পাঠ্যবইয়েই ভুলের ছড়াছড়ি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে এখন সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেই বিকৃতি। বঙ্গবন্ধুর চেতনার কথা বলে সেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসেই ভুল। অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে এখন কোমলমতি শিশুদের পাঠ্যবইয়ে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এই সরকার। পাঠ্যপুস্তক লিখতে গিয়ে যারা চুরি করেছেন তাদের এটা নেহাত ভুল নয়; বরং চোর, ডাকাতদের যেমন শাস্তি হয় তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বরেণ্য শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কোটাই বাতিল কিন্তু এখনো ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটা বৈষম্য রয়েছে। প্রাইমারি ও রেলওয়েরর পোষ্য কোটা, চাকরির আবেদন ফি এখন বেকারদের বিষফোঁড়া। বলা হয়েছিল, চাকরির বয়স বৃদ্ধি করা হবে কিন্তু এই সরকার কথা দিয়ে কথা রাখেনি।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তারিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন রাসেল আহমেদ, তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, মামুনুর রশীদ, আসিফ মাহমুদ, নেওয়াজ খান বাপ্পি, মারজিয়া প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ