কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অভিনব' বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশকে উপেক্ষা করে 'বৃদ্ধাঙ্গুলি' দেখিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির আদেশ দিলেও ভ্রুক্ষেপ করছেন না তিনি। উল্টো নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
গত ২৭ নভেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করতে সচেতন শিক্ষকদের পক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। তবে উপাচার্যের কার্যালয় থেকে শিক্ষকদের চিঠি প্রাপ্তি স্বীকারের অনুলিপি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি আমলে না নিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রাখলে হাইকোর্টে রিট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে। আদালত থেকে এ বিষয়ে চিঠি পাওয়ার পর তৎক্ষণাৎ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে কুবি কর্তৃপক্ষ। তবে রিটকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বিষয়টি সুরাহা না করেই পুনরায় নিয়োগ কার্যক্রম চালু করেন উপাচার্য। আজ ও আগামীকাল ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে চারটি বিভাগের বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
আদালতে রিটকারীদের একজন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, 'আদালত উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বললেও আমাদের কিছুই জানাননি তারা। উল্টো নিয়োগ কার্যক্রম চালু রেখেছেন। আমরা বিষয়টি আদালতকে জানাব।'
আইনজীবী মোতাহের হোসেন জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কার্যক্রম চালাতে পারেন না তিনি (উপাচার্য)। তার উচিত ছিল শিক্ষকদের বিষয়টি (চিঠি) আগেই আমলে নেওয়া। আদালত এখন পরবর্তী ধাপে যাবেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরীকে ফোন দিলে আইনি বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, 'বিষয়টি উপাচার্য ভালো বলতে পারবেন। আদালতের নির্দেশনা মেনেই আমাদের কাজ করা উচিত।'
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ