ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নানা আয়োজনে উৎসবমুখর খুবি ক্যাম্পাস

প্রকাশনার সময়: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৫৫

আনন্দ, আড্ডা, আলোচনা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক নানা আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (কুআ) তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে আলোকমালায় উদ্ভাসিত গোটা ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল সাজে। দলে দলে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জমিয়েছেন আড্ডা; করছেন স্মৃতিচারণ, সঙ্গে রয়েছে স্ত্রী-সন্তানরাও। শুধু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয় অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও এই পুনর্মিলনীতে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন কর্তৃক বেলুুন ও ফেস্টুন উড়ানোর মাধ্যমে পুনর্মিলনীর মূল কর্মসূচি শুরু হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক, অ্যালামনাই সদস্যবৃন্দ অংশ নেন।

পরে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (কুআ) তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা আলোকিত হয়ে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত লব্ধজ্ঞান দ্বারা দেশ, জাতি ও সমাজকে আলোকিত করা। অন্যকে আলোকিত করার মাধ্যমেই তাদের শিক্ষার সত্যিকার প্রতিফলন ঘটে। গ্র্যাজুয়েটরা হচ্ছে দেশ ও জাতির সম্পদ। তাদের কর্মসাফল্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধিতে গ্র্যাজুয়েটরা নানাভাবে অবদান রাখতে পারে। তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

উপাচার্য বলেন, মানুষ মাঝেমধ্যেই অতীতে হারিয়ে যায়। অতীত স্মৃতি তাকে আনন্দ বা বেদনা দেয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিটা একটু ভিন্নতর। তারুণ্যদীপ্ত জীবনের সেই অতীত স্মৃতি চিরকাল অমলিন হয়ে থাকে। মনে হয় ফিরে যাই অতীতে। কিন্তু বাস্তবতা সত্য, তা চলমান। জীবনের এই ব্যস্ততার মধ্যেও মাঝে মাঝে ক্যাম্পাসে ফেরা, পুরনো বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হওয়া, আড্ডা-স্মৃতিচারণ, যোগাযোগ অপার আনন্দের। পুনর্মিলনী সেই সুযোগ করে দেয়। এসময় উপাচার্য পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার অমিত রায় চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মনিরুল হাসান তুহিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমন।

এবারের পুনর্মিলনীতে স্বপরিবারে তিন সহস্রাধিক অ্যালামনাই যোগ দিয়েছেন। দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ইভেন্টে খেলাধুলা, সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

২০০৯ সালে গঠিত খুলনা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। যার ধারাবাহিকতায় এবার তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ