ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৯ ডিসেম্বর। আওয়ামীপন্থী নীল দল এবং বিএনপিপন্থী সাদা দল এর প্রার্থীরা ১৫ টি পদের বিপরীতে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এই দুই প্যানেলের পাশাপাশি এবার সভাপতি পদে নীল দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভাগ, অনুষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন সব প্রার্থীরা। শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিলি করছেন লিফলেট। এদিকে, নীল দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীনের প্রচারপত্রে বঙ্গবন্ধুর নামসহ ৩০টির বেশি ভুল রয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে এই অধ্যাপক ভোটারদের কাছে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে ৩ পাতার একটি প্রচারপত্র বিলি করছেন। সেখানে এসব ভুল বানান পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন নিজেও এসব ভুলের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এসব ভুল সংশোধন করা হয়েছে।
অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীনের সেই লিফলেটে ভুল বানানের মধ্যে রয়েছে- ‘তিমি’ (তিনি), ‘১২৮৫’ (১৯৮৫), ‘উত্তীণ’ (উত্তীর্ণ), ‘ইং্যান্ডের’ (ইংল্যান্ডের), ‘ক্যাতনামা’ (খ্যাতনামা), ‘মেডিটেল’ (মেডিকেল), ‘কলেটে’ (কলেজে), ‘নিন্ডিকেট’ (সিন্ডিকেট), ‘গভনিং’ (গভর্নিং), ‘সামরিক’ (সামাজিক), ‘জাতীঢ’ (জাতীয়), ‘পবন্ধ’ (প্রবন্ধ), ‘পিতিবেদন’ (প্রতিবেদন), ‘ব্যানবেই্স’ (ব্যানবেইস), ‘ভিাগের’ (বিভাগের), ‘শ্রেনীকক্ষ’ (শ্রেণিকক্ষ), ‘গবেষণাা’ (গবেষণা), ‘অংশগ্রহন’ (অংশগ্রহণ), ‘তম্মধ্যে’ (তন্মধ্যে), ‘বসংশেষষ’ (সর্বশেষ), ‘গনতন্ত্র’ (গণতন্ত্র), ‘প্রশংসিত’ (প্রসংশিত), ‘আবদন’ (অবদান), ‘বর্নাঢ্য’ (বর্ণাঢ্য), ‘কারা অন্তরীন’ (কারা অন্তরীণ), ‘দাবীতে’ (দাবিতে), ‘গন্তি’ (গণ্ডি), ‘অন্তর্জাতিক’ (আন্তর্জাতিক) ‘আওয়ার্ড’ (অ্যাওয়ার্ড), ‘বঙ্গবব্ধু’ (বঙ্গবন্ধু), ‘সন্মাননা’ (সম্মাননা), ‘মারাত্নকভাবে’ (মারাত্মকভাবে), ‘মুক্তিযুদ্ধোর’ (মুক্তিযুদ্ধের)।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন নয়া শতাব্দীকে বলেন, ইচ্ছে করে কেও ভুল করেনা। প্রথম দিনের লিফলেট এর ভুল গুলো যান্ত্রিক কারণে হয়েছে। ছাপাখানার সমস্যার কারণে। পরে সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। তিনি এই প্রতিবেদককে সংশোধিত সফট কপিটি পাঠান। তবে সংশোধন করার পরও বেশ কয়েকটা ভুল ছিল লিফলেটটিতে।
এ বিষয়ে নীল দলের সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া নয়া শতাব্দীকে বলেন, ওনি (জামাল উদ্দীন) বলা যায় একজন সতন্ত্র প্রার্থী। নীল দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় একাই দাড়িয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও ওনার একটা প্যানেল থাকতো। নীল দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছি আমি। অর্থাৎ তিনি নীল দলের প্রার্থী নন।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ