গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের অভ্যন্তরীণ সমস্যা প্রসঙ্গে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দের দেওয়া স্মারকলিপি থেকে এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। উক্ত বিষয়ে বিভাগের শিক্ষকদের অবগত করা হলেও আশানুরূপ না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা তিনদিন যাবত সকল ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে বলেও জানা যায়।
শিক্ষার্থীদের উল্লেখকৃত সমস্যাসমূহ হলো,
১। বিভাগীয় প্রধানের নিকট হতে শিক্ষার্থী বান্ধব আচরণ থেকে বঞ্চিত। যার ফলে শিক্ষার্থীরা কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে তার সমাধান পেতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২। বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেমন বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার, শিক্ষা সফর, নবীন বরন, বিদায় অনুষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।
৩। উক্ত দাবি সমূহ পেশ করার ফলে বিভাগ হতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
বিভাগের ৪র্থ সেমিস্টার শিক্ষার্থী মো. রাকিব আহমেদ বলেন, আমারা শুধু পুথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাইনা। আমরা শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষা সহায়ক বিভিন্ন কার্যক্রম অংশ নিতে চাই। আমাদের দাবি যৌক্তিক আমাদের দাবি পুরন না হলে আমরা ক্লাসে বসবো না।
বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের আরেক শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ হোসেন রিকু বলেন, আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক আশা করেছিলাম। আমরা সুসম্পর্ক চেয়েছি। আমাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা আশা করি। অবহেলা বা বিতাড়িত করে দেওয়া না। আমাদের দাবি পুরন না হলে আমরা ক্লাসে বসতে চাইনা। আমরা সমঝোতা চাই হুমকি নয়।
রাজনীতি প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আতাউর রহমান খান বলেন, স্মারকলিপির ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। তবে গোটা চারেক শিক্ষার্থীদের ইন্ধনেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে কক্সবাজার যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও, কিছু নির্দিষ্ট কারণে তাদের সেখানে যেতে দিতে আগ্রহ প্রকাশ না করিনি আমি। বরং ভিন্ন জায়গায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমি মনে করি। পরবর্তীতে উপাচার্য মহোদয় এবিষয়ে আমাকে তলব করলে সে ব্যাপারে আমি কথা বলবো।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। আমি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছি। সংশ্লিষ্টদের সাথে আমি কথা বলবো। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ঠিক থাকুক এটাই আমরা চাই।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলে তা বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকদের অবগত করার পরও কোনো সমাধান পায়নি। সবশেষ তারা গত তিন দিন যাবৎ ক্লাস বর্জন করেও আশানুরুপ সাড়া না পাওয়ায় উপাচার্য বরাবর এই স্মারকলিপি জমা দেয়।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ