শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবেনা এটি বাস্তবে পরিণত করাই একজন সফল ব্যক্তির কাজ। সেই লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে এক স্বপ্নবাজ ডাক্তার। বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শেষ করে কেউ বিসিএসের জন্য লড়াই করে, কেউ দেশের বাইরে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য পাড়ি দেয় আবার কেউবা সরকারি চাকুরির জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। কিন্তু খুব কম মানুষই আছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেড়িয়ে প্রথম ধাপেই উদ্যোক্তা হওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে পা বাড়ায়।

ঠিক এমনই একজন ডাক্তার সাহস করে পরিবার ও প্রতিবেশির কটুক্তি কথা কানে না নিয়ে এক বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে সামনে এগোতে থাকে গুটি গুটি পায়ে। আজ তার এই পথচলার ১৮ বছর শেষে তার সাথে জড়িয়ে আছে পাঁচশ পরিবার।

স্বপ্ন দশ হাজার পরিবারকে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করবেন, সেই লক্ষ্যে অবিরাম নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

ডক্টরস্ এগ্রোভেট লি. প্রতিষ্ঠানটি পণ্য হিসেবে মূলত দেশের ‘এনিমেল ফিড সাপ্লিমেন্ট’ নিয়ে কাজ করছে। দেশের প্রাণিজ আমিষকে সহজলভ্য করতেই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। জীবনের মান উন্নত করাই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ। সম্মান এবং আস্থার সাথে বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি ৭০ টির অধিক পণ্য বাজারজাত করছে।

বর্তমানে দেশের প্রায় ৩৩৫ টি উপজেলায় আস্থা ও সততার সাথে কাজ করে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি ভারত ও নেপালে তাদের পণ্য রপ্তানি করা শুরু করেছে।

ভাসটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন এর মতে, এই প্রতিষ্ঠান অতি অল্প সময়ে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যেভাবে সামনে এগোচ্ছে, ভবিষ্যতে ১৮ কোটি মানুষের খাদ্য সহজলভ্য করতে আগামীতে দশ হাজার কর্মী নিয়ে কাজ করবেন।

ডক্টরস্ এগ্রোভেট লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আর কে রাফির বিশ্বাস। ২০২৫ সালের মধ্যেই দেশের সর্ববৃহৎ কোম্পানিতে পরিণত হতে যাচ্ছে তার এই প্রতিষ্ঠান। সেই লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটি মূলত বাংলাদেশের গবাদিপশু, পোল্ট্রি এবং মৎস্য এই তিন সেক্টরে উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মিটাতে মূখ্য ভূমিকা পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি সপ্তাহে ভেটেরিনারি ডাক্তার দ্বারা গ্রামের মানুষদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন যে কিভাবে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে গবাদিপশু, পোল্ট্রি এবং মৎস্য পালন করা যায়, কি পদ্ধতি অবলম্বন করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় এসব বিষয়ে।

নয়াশতাব্দী/এমএস