বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশের ‘আত্মহত্যার’ বিষয়ে জানতে র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেছেন ফারদিনের সহপাঠীরা। বৈঠকে ফারদিনের ২০ জন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত তারা বৈঠক করেন।
বৈঠকের শেষে র্যাব কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকরা জানতে চান- ফারদিনের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে র্যাবের ব্যাখ্যার সঙ্গে তারা একমত হতে পেরেছেন কিনা।
জবাবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, র্যাব কর্মকর্তারা তাদের সামনে মামলার প্রাপ্ত তথ্য ও আলামতগুলো প্রেজেন্টেশন আকারে তুলে ধরেছেন। অস্পষ্টতার বিষয়গুলো কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
র্যাবের ব্যাখ্যা তাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তারা জানান, বুয়েটে ফিরে সবার সঙ্গে কথা বলে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে ফারদিনের ‘আত্মহত্যার’ নিয়ে পুলিশ ও র্যাব যে বক্তব্য দিয়েছে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা। তার দাবি, ফারদিন আত্মহত্যা করতে পারেন না। আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন।
ডিবির তদন্তে সন্দেহ প্রকাশ করে নূরউদ্দিন রানা বলেন, যে আত্মহত্যা করেছে, সেই ব্যক্তি যে ফারদিন, সেটিই তো নিশ্চিত না। ফারদিন রামপুরা থেকে যাত্রাবাড়ী গেল কী করে?
রামপুরা থেকে ফারদিনের যাত্রাবাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, ফারদিনকে হয়তো এক জায়গা থেকে তুলে নিয়ে বন্দুকের মুখে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়েছে। তাকে অপরাধীদের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য করা হতে পারে। তদন্তকারীদের উচিত আমাদের সব জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো। যে ছেলে রাত ১১টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসত, সে কেন এসব সন্দেহজনক স্থানে এভাবে ঘুরবে?
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ