বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে এক দশক ধরেই দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। চীনের পরে থাকা সেই অবস্থানটি অবশ্য সম্প্রতি নেমে গেছে তৃতীয়তে।
রপ্তানিতে ভিয়েতনামের কাছে খোয়া যাওয়া দ্বিতীয় অবস্থান পুনরুদ্ধারে মরিয়া তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। উদ্যোক্তারা বলছেন, কী করলে রপ্তানি বাড়বে আর দ্বিতীয় অবস্থান পুনরুদ্ধার হবে তা নিয়ে গবেষণা করছেন তারা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সস্তা পোশাক রপ্তানিতে নজর আর ম্যানমেইড ফাইবারে গুরুত্ব কম দেওয়াসহ কয়েকটি কারনে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাম্প্রতিক হিসেবে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে ভিয়েতনাম চলে এসেছে দ্বিতীয় অবস্থানে। যে বছর বিশ্ববাজারে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করলেও বাংলাদেশ করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশের পোশাকের গৌরব পুনরুদ্ধারে তাই উঠেপড়ে লেগেছে রপ্তানিকারকরা। যদিও এ যাত্রায় বড় বাধার নাম করোনা মহামারি। পিছিয়ে পড়ার অন্যতম বড় কারণ বেসিক বা সস্তা পোশাকে সীমাবদ্ধ থাকা।
এছাড়া পাঁচটি পণ্য রপ্তানিতে নির্ভরতা, ম্যানমেইড ফাইবারে গুরুত্ব কম দেওয়া, চীনের উপর কাচাঁমালের নির্ভরতা আর বিদেশি বিনিয়োগ কম আসা পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার হিসেব বলছে, ২০০০ সালে বিশ্ববাজারে ভিয়েতনামের রপ্তানি হিস্যা ছিলো দশমিক নয় শতাংশ। সে সময় বাংলাদেশের হাতে ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ বাজার। ২০২০ সালে এসে সেই ভিয়েতনামের দখলে চলে গেছে বিশ্ববাজারের ৬.৪ শতাংশ রপ্তানি, আর বাংলাদেশের হাতে আছে ৬.৩ শতাংশ।
গেলো দশ বছরে ভিয়েতনাম গড়ে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশ পেয়েছে ৭ শতাংশ। অবশ্য বিজিএমইএ সভাপতির আশা, দ্রুতই দ্বিতীয় অবস্থান পুনরুদ্ধারের। যদিও এজন্য সারা বছর কারখানা চালু রাখার উপর জোর দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ