ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজারে দাম চড়া চাল,ডিম-মুরগির  

প্রকাশনার সময়: ১৩ আগস্ট ২০২১, ১৪:২০ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২১, ১৪:৩৫

বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় স্বাভাবিক হয়েছে রাজধানীর জনজীবন। পুরোদমে খুলেছে শিল্প-কারখানা অফিস-আদালত। এতে রাজধানীতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে, চাহিদার চাপ পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে তেল,ডিম, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। তবে কমেছে আলুর দাম।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানী কলমিলতা ও তেজগাঁও, কারওয়ান বাজারে শুক্রবার খুচরায় কেজিতে ১০ টাকা বাড়তি ছিল মুরগির দাম। ডিমের হালিতে বেড়েছে ২ টাকা। নতুন করে না বাড়লেও গত সপ্তাহের মতোই চড়া রয়েছে চালের বাজার। সয়াবিন তেলের দামও আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা লিটার।

শীতের আগাম সবজি শিম ও ফুলকপি রাজধানীর বাজারগুলোতে চলে এসেছে। তবে দাম একটু চড়া। শিম কিনতে ক্রেতাদের কেজিতে ১৬০-২০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। আর ছোট একটা ফুলকপি কিনতে লাগছে ৩০-৫০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন আসায় এখন শিম ও ফুলকপির দাম একটু বাড়তি। এই বাড়তি দাম আরও বেশকিছু দিন থাকবে। তবে দাম বেশি হলেও বাজারে শিম ও ফুলকপির বেশ চাহিদা রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সরদার ফরিদ বলেন, বাজারে যখন নতুন কোনো সবজি আসে তার দাম একটু বাড়তি থাকে। সে হিসেবে এখন শিম ও ফুলকপি দাম খুব বেশি না। সহসা এ দাম কমার সম্ভাবনা নেই। বরং সামনে আরও বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, বাজারে শীতের সবজি ভরপুর আসতে আরও অনেক সময় বাকি আছে। এখন যে শিম ও ফুলকপি আসছে তা আগাম সবজি। এর চাষ অল্প পরিমাণে হয়। ফলে বাজারে সরবরাহ কম থাকে। আর নতুন জিনিসের প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদা থাকে। তাই দাম বেশি হলেও এখন শিম ও ফুলকপি বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, অল্প কয়েকদিন ধরে বাজারে শিম ও ফুলকপি আসতে শুরু করেছে। বাজারে এ দুটি সবজির চাহিদা বেশ ভালো রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্রেতা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) আধা কেজি করে কিনছেন।

এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কিছুটা বেড়েছে মুরগির দাম।

গত সপ্তাহে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।

মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মো. সিকান্দার বলেন, লকডাউন তুলে নেয়ার কারণে গ্রাম থেকে অনেকে ঢাকায় ফিরেছেন। হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতেও বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। এ কারণে মুরগির চাহিদা এখন একটু বেশি। তাই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ধারণা সামনে দাম আরেকটু বাড়তে পারে।

শিম বাদ দিলে আগের মতো এখনো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা। আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করোলার কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটলের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

আগের মতো ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে এক লাফে কেজি ২০০ টাকায় উঠে যাওয়া কাঁচামরিচ এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি করছেন।

মালিবাগের ব্যবসায়ী ঝন্টু বলেন, শীতের সবজি বাজারে ভরপুর আসার আগে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এখন যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে তা আরও চার মাসের মতো থাকতে পারে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ