ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চিনি কারসাজি : ১৪৮ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

প্রকাশনার সময়: ২২ অক্টোবর ২০২২, ২৩:৪৪

দেশে বর্তমানে চাল-আটাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো চিনির বাজারও অস্থির হয়ে উঠেছে। চিনির অস্থিতিশীল বাজার মনিটরিংয়ের কর্মসূচি নিয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক এলাকায় চিনি পাওয়াও যাচ্ছে না। বেশি দামে চিনি বিক্রি ও কারসাজির অপরাধে ১৪৮ প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সারা দেশে চিনির বাজারে বিশেষ অভিযান করে এ জরিমানা করে। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সারাদেশে চিনির বাজারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা করে।

অপরদিকে শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনা, মোনায়েম ও রূপগঞ্জের সিটি গ্রুপ পরিদর্শন করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকার একটি দল।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসানুজ্জামান জানান, বাজারে চিনি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়িরা বলছে চিনির সরবরাহ কম। এজন্য, দেশব্যাপী চিনির উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মনিটরিং শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, শনিবার ঢাকার আশপাশের রিফাইনারিগুলো পরিদর্শন করছি। আমরা সোনারগাঁওয়ের মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ ব্র্যান্ডের চিনির কারখানা পরিদর্শন করেছি। সেখানে প্রতিদিন চিনি উৎপাদনে সক্ষমতা হচ্ছে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখন উৎপাদন হচ্ছে এক হাজার নয় শত মেট্রিক টন। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার জন্য গ্যাস সংকটকে দায়ী করা হচ্ছে। অপরদিকে, মোনায়েম গ্রুপ তাদের উৎপাদিত চিনি নিজস্ব কোকাকোলার প্লান্টে ব্যবহার করে থাকে। মূলত তাদের চিনি বাজারে যায় না। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সিটি গ্রুপও আমরা পরিদর্শন করেছি।

মেঘনা গ্রুপের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা এম এ বকর বলেন, যখন যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হচ্ছে- তা বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। উৎপাদন কমে গেছে তার একমাত্র কারণ হলো গ্যাস সংকট। তবে, আমাদের উৎপাদন চালু আছে এবং সরবরাহও হচ্ছে।

এ সময় চিনির বাড়তি দামের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে মেঘনা গ্রুপের এই কর্মকর্তা বলেন, সরকার খুচরা বাজারের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেই দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হলে ভোক্তা অধিকার আছে তারা দেখবে বিষয়টা। কিন্তু আমাদের এখানে দাম বাড়ান হয়নি। বাজারে চিনির দাম বাড়লে সবসময়ই রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়।

গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাতের দাম ৯৫ টাকায় বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং এখন উল্টো দাম বাড়ছে।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ