চাল-আটাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের চিনির বাজার। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে কখনো চিনির দাম ১০০ টাকার বেশি ওঠেনি। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির ঘাটতি ও খোলা চিনির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে সরকার দাম ঠিক করে দেয়ার পরও চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিষয়টি তদারকি করতে বিশেষ অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা বলেন, শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের তিনটি টিম মাঠে নেমেছে। বিশেষ করে চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-মিল ও পাইকারী বাজারে এসব অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভোক্তা অধিদফতরের টিমগুলো।
চলতি মাসের শুরুতে খুচরা বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হয় ৮৪ টাকা করে। স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে সরকার গত ৬ অক্টোবর কেজিতে দাম ছয় টাকা বাড়িয়ে দেয়। এতে খোলা চিনির দাম হয় ৯০ টাকা। যা বর্তমানে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনদিন আগে মঙ্গলবার ৫০ কেজির চিনির বস্তার দাম ছিল ৪২৫০ টাকা, সেটি গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৫৩০০ টাকা দরে। অর্থাৎ বস্তাপ্রতি ১০৫০ টাকা বেড়েছে। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীদের ১০৬ টাকা করে কিনে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ