ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চিনির সেঞ্চুরি, বেড়েছে পেঁয়াজ-আটা-ময়দার দামও

প্রকাশনার সময়: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১০:০৯

বাজারে এখন খোলা চিনি ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি করা হয় ৯৫ টাকায়। কেজিতে পাঁচ টাকা করে বেড়েছে পেঁয়াজ, আটা ও ময়দার দাম।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান, কালাচাঁদপুর, জোয়ারসাহারা ও রামপুরা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে সরকার গত ৬ অক্টোবর কেজিতে দাম ছয় টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি ৯০ টাকা বেঁধে দেয়। তবে বাজারে এই দরে চিনি মিলছে না। খোলা চিনিই বিক্রি করা হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে।

সরকারি বাজার মনিটরিং প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে (টিসিবি) প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়।

রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী ভাই ভাই স্টোরের মালিক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করেছে কেজি ৯০ টাকা, কিন্তু এখন আমাদের প্রতি কেজি চিনি কিনতে খরচ হচ্ছে ১০৬ টাকা। তাহলে কিভাবে ৯০ টাকায় বিক্রি করব?’

তিনি আরো বলেন, চিনি উৎপাদনকারী কম্পানিগুলো বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এই কারণেই এখন চিনির দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহেও এক বস্তা চিনি চার হাজার ৪০০ থেকে চার হাজার ৫০০ টাকায় কিনতে পেরেছি। এখন বস্তা কিনতে হচ্ছে পাঁচ হাজার ২০০ টাকায়। তার সঙ্গে রয়েছে পরিবহন খরচ।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রধান (বিপণন) মো. মাযহার উল হক খান বলেন, গত বছর চিনির উৎপাদন খুবই কম হওয়ায় আমাদের সংগ্রহে অন্যান্য বছরের তুলনায় মজুদ কম ছিল। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজারে নতুন চিনি আসবে। চলতি অর্থবছরে গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি চিনি উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। গত অর্থবছরে উৎপাদন ছিল সাড়ে ২৪ হাজার টন। তার আগের বছর ছিল ৪৮ হাজার মেট্রিক টনের বেশি।

এদিকে বাজারে খোলা আটা প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি করা হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে, গত সপ্তাহে এই ময়দা বিক্রি হয় ৬০ টাকায়। পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫ টাকায়।

গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে চাল। চিকন চাল (মিনিকেট) কেজিপ্রতি ৭৫ টাকায়, ব্রি-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় এবং নাজিরশাইল বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। আমদানি করা আদা প্রতি কেজি ১৬০ টাকা এবং দেশি আদা ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ১২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০ টাকা কেজি দরে। ডিম প্রতি ডজন ১৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

শীতের আগাম সবজি বাজারে এলেও দাম বাড়তি। গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা; পটোল, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা; শিম ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, পাকা টমেটো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ছোট আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৫০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। পাঙ্গাশ প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। দেড় কেজি ওজনের রুই প্রতি কেজি ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, বড় রুই প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বড় আকারের কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের কই মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, পাবদা আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ