ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
সেমস গ্লোবালের আয়োজন

চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী উদ্বোধন

প্রকাশনার সময়: ৩১ আগস্ট ২০২২, ১৫:৫৬ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২২, ১৮:২৫

সেমস গ্লোবালের আয়োজনে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় শুরু হলো ‘২১ তম টেক্সটেক বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২২’। এই প্রদর্শনী চলাকালীন একই সময়ে চলছে ‘১৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিক শো ২০২২’ সামার এডিশন এবং ৪০তম ডাই+কাম বাংলাদেশ ২০২২ ইন্টারন্যাশনাল এক্সাপো’।

বুধবার (৩১ আগস্ট) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরাতে (আইসিসিবি) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন মধ্যে দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়। প্রদর্শনীগুলো প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০টা থেকে সন্ধ্যা ০৭ টা ৩০ পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বর্তমান সরকার শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০৪০ সাল নাগাদ উন্নত দেশে উন্নীত হবার রূপকথা বাস্তবায়নে পোশাক শিল্পকে অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক খাত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, সেমস গ্লোবালের এই ধরনের আয়োজন দেশি-বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ, দ্রুত শিল্পায়ন, পণ্যের বহুমুখীকরণ, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আমি আশা করছি।

সেমস গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ সালে ‘টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। মহামারীর কারণে প্রদর্শনী খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালে আমরা ‘টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ভার্চুয়াল এডিশন’ এর আয়োজন করেছিলাম এবং সফলভাবে এই প্রদর্শনী সম্পন্ন করতে পেরেছিলাম। এর জন্য ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা মহল থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম।

তিনি বলেন, দুই বছর পর এইবার আবার পুরোপুরিভাবে ‘২১তম টেক্সটেক বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী-২০২২’ এর আয়োজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এবারের প্রদর্শনীতে ১২টি দেশের ৩৫০টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন এবং এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো প্যাভিলিয়ন প্রদর্শনীতে থাকবে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের প্রদর্শনী ব্যবসায়ী ক্রেতা, ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সহযোগীতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো বেগবান করবে। সেই সঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করবে।

বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাইরের জগতের কাছে বাংলাদেশকে নতুনভাবে ব্যবসাবান্ধব দেশ হিসেবে উপস্থাপনে এই ধরনের প্রদর্শনী শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।

এসআরটিইপিসি চেয়ারম্যান ধীরাজ রাইচাঁদ শাহ বলেন, বর্তমানে বিজনেস টু বিজনেস ট্রেড শো এবং প্রদর্শনী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কারণ, যেখানে অন্য কোনো মাধ্যম কাজ করে না, সেখানে প্রত্যক্ষ বিপণনের মাধ্যমে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের সাথে যোগসূত্র স্থাপনে এই ধরনের প্রদর্শনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ