চলতি মাসের শুরুর দিকে ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরই সরকারের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর শুল্ক কমিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি উঠতে থাকে। অবশেষে রোববার (২৮ আগস্ট) ডিজেলের আগাম কর মওকুফ ও আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এদিকে জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে মূল্য কাঠামোতে কী প্রভাব পড়বে, তা জানতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ।
সোমবার (২৯ আগস্ট) পেট্রল পাম্প মালিকদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর বিষয়টা মাত্র ২টা জায়গায় আংশিক কমেছে। এটি নিয়ে অ্যাকাউন্টস শাখা কাজ করছে। এখনো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম ১৩২ ডলার। যার ফলে ডিজেল বিক্রিতে প্রতি লিটারে সাড়ে ৯ থেকে ১০ টাকা লস করছে বিপিসি।
এনবিআরের নতুন প্রজ্ঞাপনে ভ্যাট ট্যাক্স কমানোয় তেলের দামে কোনো প্রভাব পড়বে কি না সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান আজাদ। মন্ত্রণালয়ে আলোচনার পর জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত পেট্রোল পাম্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক অভিযোগ করেন, নিয়ম না জেনেই পেট্রোল পাম্পগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে হয়রানি করছে ভোক্তা অধিকার। এ বিষয়ে প্রমাণসহ বিপিসিতে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ